দেশজুড়ে

বরগুনায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

বরগুনায় হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বছরের শুরু থেকে মাসে দু-একজন রোগী ভর্তি হলেও গতমাস থেকে প্রায় নিয়মিত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। সোমবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত ২২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement

ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালে চালু করা হয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা দুটি ইউনিট। ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে মশক নিধনে এখনো বরগুনায় কোনো ওষুধ প্রয়োগ না করলেও জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরজুড়ে চালানো হচ্ছে প্রচার মাইকিং।

সোমবার বরগুনা সদর হসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে শনাক্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া কলেজছাত্র নাজমুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি চার পাঁচদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। পরে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। গতকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছি।’

Advertisement

পৌরসভার আমতলার পাড় এলাকার চন্দ্র শেখর রায় জাগো নিউজকে বলেন, সকালে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। আমার প্লাটিলেট ছিল ৮২ হাজার, বর্তমানে আছে ৭০ হাজার। তিনি বলেন, পৌরসভায় মশা বেড়ে যাওয়ায় ঘরে ঘরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন।

মেয়ে পূজা শিকদারকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন নুপুর শিকদার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুধবার আমার মেয়ের জ্বর হয়। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। চিকিৎসা নিতে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।’

বরগুনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টির সময়ে স্বাভাবিকভাবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছি।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কমাতে সবাইকে সচেতনতার পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার সঙ্গে মশারির মধ্যে থাকতে হবে।

Advertisement

বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় এতদিন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা পেতে শুকনা সময়ে প্রয়োগ করলে ভালো হয়। এখন জেলার আবহাওয়া ভালো আছে। আগামীকাল থেকে এলাকা ভাগ করে পর্যায়ক্রমে শহরজুড়ে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।

এসআর/জেআইএম