রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। বেড়ে যায় দাম। বিশেষ করে দরিদ্রদেশগুলোতে।
Advertisement
পরে জতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দেশ দুইটির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়। এর আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে এত দিন শস্য রপ্তানি করে আসছে ইউক্রেন। এবার এই চুক্তি থেকে সরে গেলো রাশিয়া। তাই ফের খাদ্য সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>ক্রিমিয়া সেতুতে ফের বড় বিস্ফোরণ, নিহত ২
গত বছর ওই চুক্তির পর বেশ কয়েকবার নবায়ন করা হয়। সবশেষ মেয়াদ ছিল সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত। কিন্তু বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে রাশিয়া চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শস্য চুক্তির অধীনে ৩ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা, গম ও অন্যান্য শস্য ইউক্রেন রপ্তানি করেছে। শেষ জাহাজটি রোববার ইউক্রেন ছাড়ে। শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাটি এমন সময় সামনে এল যখন ক্রিমিয়া সেতুতে দুইটি বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন>দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯
সেতুটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ও রাশিয়ার ক্রাসনোদর অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া।
ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, বিস্ফোরণে পর সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
Advertisement
এর আগে গত বছরও শক্তিশালী বিস্ফোরণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্রিমিয়া সেতু। দুই ভাগে বিভক্ত সেতুর সড়ক অংশের দুটি খণ্ড বিস্ফোরণে ধসে পড়েছিল। আগুন লাগে রেল অংশে থাকা তেলবাহী ট্যাংকারে। রাশিয়া জানিয়েছিল, একটি গাড়িবোমা ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটানো হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম