দেশজুড়ে

অষ্টগ্রামে সেই সাবিকুলের পরিবারের পাশে এমপি তৌফিক

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরে নৌকাডুবি লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ দেওয়া সাবিকুল ইসলামের (২৩) পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

Advertisement

রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীর কান্দির (মোল্লা বাড়ি) গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নগর অর্থ তুলে দেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

জানা গেছে, নৌকাডুবি লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্রোতের মধ্যে তলিয়ে যান সাবিকুল ইসলাম। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সাবিকুলের মরদেহ উদ্ধার করেন। এই ঘটনাটি সারা জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি করে এবং মানুষের মুখেমুখে তার নাম ছড়িয়ে পরে।

রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে সাবিকুলের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে তার বাড়িতে যান এমপি তৌফিক। এসময় সাবিকুলের পরিবারকে নগর অর্থ তুলে দেন। তাদের অবস্থা দরিদ্র হওয়া তার বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও সাবিকুলের স্ত্রীতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। সাবিকুলের ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নৌকাডুবির সবাই বেঁচে গেলো, উদ্ধারে গিয়ে তলিয়ে গেলেন সাকিবুল

রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, সাবিকুলের সাহসী ভূমিকায় অন্যরা জীবিত ফিরলেও সে ফিরেছে লাশ হয়ে। সাবিকুলের বীরত্বের কথা এখন লোকজনের মুখেমুখে। তার স্বজনদের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম তার বাড়িতে। যেসব মানুষ নিঃস্বার্থভাবে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করেন, মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে বিলিয়ে দেন- মৃত্যুর পরেও তারা অমর হয়ে থাকেন মানুষের মাঝে। সাবিকুল তাদের মধ্যেই একজন। তাই দায়িত্ববোধ থেকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

এর আগে ১০ জুলাই সাতজন যাত্রী, একটি গরু ও কিছু লাকড়ি নিয়ে ডুবে যাচ্ছিল নৌকা। ওইসময় মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিবুল ইসলাম (২৩)। এ দৃশ্য দেখে যাত্রীদের বাঁচাতে তিনি হাওরে ঝাঁপ দেন। দুটি শিশুকে উদ্ধারও করেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজে প্রাণ নিয়ে কূলে উঠতে পারেননি সাকিবুল। নিস্তেজ হয়ে তলিয়ে যান পানিতে। তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এসকে রাসেল/জেএস/জেআইএম

Advertisement