দেশজুড়ে

ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগররা

নড়াইলের কালিয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগররা। চলছে পুরনো নৌকা মেরামতের কাজও। বর্ষায় নৌকা তৈরি করলেও বাকি সময় বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে নিম্নাঞ্চল ও বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের পারাপারে নৌকা ব্যবহার করে থাকেন। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেলে নৌকা, কলাগাছের ভেলা পারাপারের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। বর্ষাকে কেন্দ্র করে এখানকার কারিগররা নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।

নৌকার কারিগর মো. মনসুর মোল্যা জানান, পেশায় আমি কাঠমিস্ত্রি। বর্ষায় নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চলে। একটা নৌকা তৈরি করতে একজনের দুদিন সময় লাগে। মজুরি পাই তিন হাজার টাকা।

মিন্টু মল্লিক নামের আরেক কারিগর জানান, বর্ষার তিন মাস নৌকা তৈরির কাজ করি। দুদিনে একটি নৌকা তৈরি করা যায়। দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মজুরি পাই।

Advertisement

মোক্তার মোল্যা নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী জানান, বর্ষা এলে নৌকা বানিয়ে বিক্রি করি। গত ৯ বছর ধরে এ কাজ করছি। এ সময় আমার কারিগররা দম ফেলার সময় পান না। জুন মাস থেকে নৌকা তৈরি কাজ শুরু হয় আগস্টের শেষ পর্যন্ত নৌকা তৈরি ও বিক্রিহয়।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলের ৩২ হাটে বিক্রি হচ্ছে নৌকা, ব্যস্ত কারিগররা

মিটু মোল্যা নামের আরেক কাঠ ব্যবসায়ী জানান, ৮-৯ হাত দৈর্ঘ্যের নৌকা ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নৌকা বড় হলে দামও বাড়ে। গত কয়েক দিনে আমি বেশ কয়েকটি নৌকা বিক্রি করেছি।

বাজারে নৌকা কিনতে আসা বড়নাল গ্রামের মিন্টু মল্লিক জাগো নিউজকে বলেন, বন্যায় নিচু সড়ক ডুবে যায়। বিলের ধান আনা, পরিবারের সদস্যদের পারাপারের জন্য ৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি নৌকা কিনেছি।

Advertisement

এ বিষয়ে নড়াইল বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো. সোলায়মান হোসেন জাগো নিউজকে জানান, নৌকা তৈরির কারিগরদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ এ শিল্পের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সেটি করা হবে।

হাফিজুল নিলু/আরএইচ/জেআইএম