ধারাবাহিক সাতটি কাজ করার মাধ্যমে ফরজ গোসল সম্পন্ন হয়। আবার ৪টি কাজ থেকে বিরত হওয়ার পর ফরজ গোসল করতে হয়। ফরজ গোসল সম্পন্ন হওয়ার ধারাবাহিক ৭ নিয়ম ছাড়াও গোসল ফরজ হওয়ার কাজগুলো কী?
Advertisement
যে কাজে গোসল ফরজ হয়
চারটি কারণ পাওয়া গেলে গোসল ফরজ হয়। এ ৪টি কারণের যে কোনে একটি সংঘটিত হলেই গোসল করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। এগুলো হলো-
১. জানাবাত থেকে পবিত্রতা হওয়ার গোসল। এটি নারী-পুরুষের যৌন মিলন, স্বপ্নদোষ বা যে কোনো উপায়ে বীর্যপাত হলে গোসল করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন-
Advertisement
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ৬)
২. নারীদের মাসিক (ঋতুস্রাব) বন্ধ হওয়ার পর পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা ফরজ।
৩. নারীদের সন্তান প্রসবের পর নেফাসের রক্ত বন্ধ হলে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা ফরজ।
Advertisement
৪. জীবতদের ওপর মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া ফরজ।
গোসলের সময় তিন কাজ করা আবশ্যক
অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে ৩টি কাজ করা আবশ্যক। যথাযথভাবে কাজ ৩টি না করলে ফরজ আদায় না। কাজ তিনটি হলো-
১. কুলি করা । (বুখারি, ইবনে মাজাহ)
২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, ইবনে মাজাহ)
৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। (আবু দাউদ)
ধারাবাহিক ৭ নিয়মে ফরজ গোসল সম্পন্ন করা উত্তম। তাহলো-
১. গোসলের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে বিসমিল্লাহ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না।
২. দুই হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিস্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা পেশাব করে নেওয়া। এতে নাকাপি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে।
৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া।
৫. ওজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের অজুর ন্যয় অজু করে নেওয়া।
৬. এরপর ফরজ গোসলের তিন কাজ- কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে।
৭. সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ গোসল করার সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখার এবং যথাযথভাবে গোসল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস