আন্তর্জাতিক

৫ মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পড়ে যাবে, দাবি বিজেপি নেতার

আগামী ৫ মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পড়ে যাবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের।

Advertisement

শনিবার (১৫ জুলাই) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ফুলশড়া পাঁচপোতায় এলাকায় পঞ্চায়েতে ভারতীয় জনতা পার্টির বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ লোকসভার সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর।

আরও পড়ুন>পিটিআই নিষিদ্ধ হলে নতুন দল গঠন করে নির্বাচন করবো: ইমরান খান

তিনি বলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা যা ভোট পেয়েছি, তার থেকে দশগুণ বেশি ভোট পাওয়ার কথা ছিল। যদি এরা রাহাজানি না করতো। তৃণমূল কংগ্রেস ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কখনোই এরা চিরস্থায়ী নয়।

Advertisement

শান্তনু ঠাকুর বলেন, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি।

শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শান্তনু ঠাকুরের থেকে এক কদম এগিয়ে বলেন, হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কেরা মনে করতে পারেন অন্য কাউকে সমর্থন করবেন। আবার এমন গণ আন্দোলন হতে পারে, হয়তো বিধায়করা পদ ছেড়ে দেবেন।

সুকান্ত মজুমদার দাবি, যে কোনো সময় তৃণমূল সরকার পড়ে যেতে পারে।

কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সভাপতি এই দাবি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা।

Advertisement

আরও পড়ুন>সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১২ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির দুই নেতার এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলের ধারণা তাহলে কি মহারাষ্ট্রের ঘোড়া কেনাবেচার মতো সমীকরণ পশ্চিমবঙ্গেও হতে চলেছে? তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে ফেলতে ঘোড়া কেনাবেচার ছক হবে এখানে।

যদিও শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারের এই দাবিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।

শান্তনু ঠাকুরের এই দাবির পর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ধস থেকে আর ফেরবার কোনো রাস্তা নেই বিজেপির। তাই মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই সব বলে হাওয়ায় ভেসে থাকতে চাইছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, আদৌ কি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তব রূপ পাবে না কি শুধুমাত্র হুঙ্কার হয়েই থেকে যাবে।

ডিডি/এমএসএম