দেশজুড়ে

আইনজীবীর কাছে ঘুস দাবির অভিযোগ সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে

একটি জমির দলিল সম্পন্ন করতে শরীয়তপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনজীবীর কাছে পাঁচ হাজার টাকা ঘুস চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এজলাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আইনজীবীর নাম হেলাল উদ্দিন আকন্দ। তিনি চিকন্দী আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার ঘুস চাওয়ায় আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এসময় কিছুটা উত্তেজিত হতেও দেখা যায় তাকে।

Advertisement

এ বিষয়ে চিকন্দী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বোনের আইডি কার্ডে বাবার নামের বানান ভুল হয়েছিল। তবে বাবার নাম সংশোধন ছাড়াই দলিল করে দিতে সাব-রেজিস্ট্রার পাঁচ হাজার টাকা চান। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। তাই উনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আমিও তার জবাব দিয়েছি।’

জমির ক্রেতা আসাদুল্লাহ গাজী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার একটি দলিল করতে দেওয়া হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম সাব-রেজিস্ট্রারের জন্য। কিন্তু দুপুর ১টার পর সাব-রেজিস্ট্রার এসেছেন। তারপরেই লেগে গেলো গন্ডগোল। শুনলাম আইনজীবীর কাছ থেকে নাকি পাঁচ হাজার টাকা চাওয়ায় এই গন্ডগোল হয়েছে।’

তবে ঘুস দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শরীয়তপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই আইনজীবী সরকারের ৩৭ হাজার টাকা কর ফাঁকি দিতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে কর পরিশোধ করতে বলেছি। সে কারণে আমার সঙ্গে কী খারাপ আচরণটা করেছেন তিনি! আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

কর ফাঁকির অভিযোগ প্রসঙ্গে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন আকন্দ বলেন, ‌‘দলিল করতে আমি কোনো কর ফাঁকি দেইনি বা চেষ্টাও করিনি। আমি একজন আইনজীবী হয়ে কেন বেআইনিভাবে দলিল করবো? এগুলো মিথ্যা কথা।’

Advertisement

এসআর/জিকেএস