সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি ফার্নিচার কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত নয়জনের একজন সাইফুল ইসলাম। তিনি সাভারের বলিয়াপুরে মৃত আলাউদ্দিনের বড় ছেলে। শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে সাভারের বলিয়াপুরে নিহত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
Advertisement
সাইফুল ইসলামের আট বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে নুসরাত জাহান সাইকা চিৎকার করে আল্লাহর কাছে বাবাকে ফেরত চাচ্ছে। শোকে স্তব্ধ স্ত্রী নাছিমা আক্তার বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। মা-মেয়ের আর্তনাদে পুরো বাড়িতে কান্নার রোল।
নাছিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী পরিবারের হাল ধরতে বিদেশে গেছিল। এখন আমাদের কে দেখবে? আমরা চলবো কীভাবে?
পাশেই নিহতের মা নবিজা বেগম বিলাপ করে বলছেন, আমার ছেলে মারা গেলো, তার লাশটা যেন পাই। আমার ছেলের লাশটা আমি চাই। শেষবারের মতো তাকে দেখতে চাই। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।
Advertisement
পরিবার থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ আট বছর দুই মাস ধরে সৌদি আরবে থাকতেন সাইফুল ইসলাম। ১৪ মাস আগে ছুটি নিয়ে একবার দেশে এসেছিলেন। তিনি সৌদি আরবে দাম্মাম শহরের ট্রাক চালাতেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে দাম্মামের হুফুফ শহরের শিল্প এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে নয়জন কর্মী মারা যান।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এমএআরএন/কেএএ/
Advertisement