আন্তর্জাতিক

ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে পাড়ি: ছয় মাসে প্রায় ৩০০ শিশুর মৃত্যু

ইউরোপে যাওয়ার পথে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত ২৮৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।

Advertisement

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সংস্থাটি জানায়, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবারের সংখ্যা দ্বিগুণ। দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এসব শিশু প্রাণ হারায়।

অভিবাসন ও স্থানচ্যুতি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেওয়া ভেরেনা নাউস বলেছেন, মধ্য ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির কারণে সত্যিকারের পরিসংখ্যান বেশি হতে পারে। কারণ সেখানে ডুবে যাওয়া অনেক নৌকার কেউ বেঁচে নেই বা রেকর্ড করা হয়নি।

আরও পড়ুন>দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশে নিয়ম শিথিল

Advertisement

তাছাড়া ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ১১ হাজারের বেশি শিশু ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।

উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা কোনোভাবেই থামছে না। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছে শত শত শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী।

আরও পড়ুন>ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, উপসাগরে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকায় ঝুঁকিপূর্ণ রুটগুলোতে প্রায় তিন হাজার ৮০০ জন প্রাণ হারিয়েছে, যা ২০১৭ সালের পর এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

Advertisement

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ২০২২ সালে ওই অঞ্চলের সাগর ও স্থল রুটে তিন হাজার ৭৮৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে। তাদের এই রুটের মধ্যে ভূমধ্যসাগর ও সাহারা মরুভূমি রয়েছে।

এমএসএম