শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
Advertisement
উৎসবটি হবে দুই দিনব্যাপী। শনিবার (১৫ জুলাই) শেষ হবে অনুষ্ঠান। এদিন সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়। এ উৎসবে দেশবরেণ্য শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) উৎসবের প্রথম দিনে শুরুতেই ছিল ওডিসি পরিবেশনা। দলীয় এ নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যছন্দ। এরপর কত্থক পরিবেশন করেন মন্দিরা চৌধুরী। শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন রেজওয়ান আলী লাভলু ও কানিজ হুসনা আহমেদী। এরপর ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি এবং কত্থক পরিবেশনায় স্নাতা শাহরিন।
আরও পড়ুন: ‘আভাস’ ব্যান্ড দলের নতুন গান প্রকাশ
Advertisement
শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন অন্তরা মণ্ডল এবং বিটু শীল। মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন বাবরুল আলম চৌধুরী এবং গৌড়িও নৃত্য পরিবেশন করেন এগনেস র্যাচেল প্রিয়াংকা। এরপর শাস্ত্রীয় সংগীত রেজওয়ানুল হক এবং প্রিয়াংকা গোপ পরিবেশন করেন।
কত্থক পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী সাজু আহমেদ ও শিল্পী মুনমুন আহমেদ। মনিপুরি পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় শিল্পী তামান্না রহমান।
এরপর সংগীত পরিবেশন করেন ফকির শহিদুল ইসলাম ও পূর্ন চন্দ্র মণ্ডল। মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন মনোমী তানজানা অর্থী এবং ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন মোহনা মীম।
কত্থক পরিবেশন করেন মো. মাসুম হোসাইন। পরে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন অসিত দে এবং সুস্মিতা দেবনাথ। শেষে পরিবেশিত হয় ভরতনাট্যম, পরিবেশনায় সালমা বেগম মুন্নি এবং দলীয় কত্থক পরিবেশনায় নৃত্যকলা বিভাগ, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন: শাকিবের ‘প্রিয়তমা’য় জাহিদ আকবরের গান ‘গভীরে’ প্রকাশ
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, প্রতিমাসে একবার করে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের আয়োজন করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় এ ধরনের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে এক হাজার শিক্ষার্থী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি। কোনো কোনো জেলায় তা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সুতরাং আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।
এসময় মহাপরিচালক ঘোষণা দেন যে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছরপূর্তিতে আরও বড় পরিসরে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব করা হবে।
এমআই/জেডএইচ/এএসএম