বগুড়ার সারিয়াকান্দির বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের অপরিকল্পিত সংযোগ। এর কবলে পড়ে সবুজ প্রাং (৫০) নামে এক মহিষের বাথানের মালিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
নিহত সবুজ উপজেলার পৌর এলাকার মধ্য হিন্দুকান্দি গ্রামের ইফেজ প্রাংয়ের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গজারিয়া পাথারে একটি বাথানের প্রায় ১০০ মহিষ বোরোধান কাটা চারণভূমিতে বিচরণ করতো। সেখানে ইফেজ এবং তার ভাইদের বেশ কয়েকটি মহিষ ছিল। ওই পাথারে একই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মহসিন প্রাংয়ের ছেলে সাজু মেম্বার বিদ্যুৎচালিত শ্যালো মেশিনে সেচ দেন। ওই মেশিনের বিদ্যুতের লাইন তিনি বাঁশের খুঁটি দ্বারা টাঙিয়েছিলেন।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উক্ত বাঁশের খুঁটির সঙ্গে মহিষের ধাক্কা লাগে। এতে বাঁশের খুঁটি ভেঙে যায়। ফলে বাঁশের খুঁটিতে থাকা বিদ্যুতের খোলা তার ৬টি মহিষের ওপর পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬টি মহিষের মৃত্যু হয়।
Advertisement
মহিষগুলোর এ অবস্থা দেখে মহিষের মালিক সবুজ প্রাং আক্রান্ত মহিষকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে সবুজকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার করে সারিয়াকান্দি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ সারিয়াকান্দি জোনাল ম্যানেজার শফি আহম্মেদ জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। এ বিষয়ে তিনি সহকারী জোনাল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
তবে সহকারী জোনাল ম্যানেজারকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিক্টিমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
এফএ/এএসএম