সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্লাস্টার বোমা হাতে পেয়েছে ইউক্রেন। শতাধিক দেশে নিষিদ্ধ এই বোমাটি সীমিত আকারে ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গেছে।
Advertisement
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিশাল অংশ দখলে নিয়েছে। তাই এই অস্ত্র মোতায়েন হবে যুক্তিযুক্ত।
আরও পড়ুন>রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পথে ভারত, সফল হবে চন্দ্রাভিযান?
তাভরিয়া বা দক্ষিণ সামরিক জেলার মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন মার্কিন-অর্থায়নকৃত রেডিও লিবার্টিকে বলেছেন, এই অস্ত্র রাশিয়ার দখলদার বাহিনীকে আরও অবনমিত করবে ও ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে মৌলিক পরিবর্তন আনবে।
Advertisement
তিনি বলেন, যুদ্ধাস্ত্রগুলো আইনি কাঠামোর মধ্যে কঠোরভাবে ব্যবহার করা হবে। তবে এগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হবে না। শুধু শত্রুদের প্রতিরক্ষা ভেদ করার জন্য রাশিয়ান সামরিক বাহিনী কেন্দ্রীভূত এলাকায় ব্যবহার করা হবে।
এদিকে এই অস্ত্র চালানের জবাবে মস্কো জানিয়েছে, তাদের সেনা যদি এ ধরনের অস্ত্রের সম্মুখীন হয়। তাহলে রাশিয়াও একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন>৬৩ বছরে প্রথম নারী প্রধান পেলো অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে যুদ্ধসহায়তা হিসেবে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে কানাডা, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মতো পশ্চিমা মিত্ররা। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ তাদের অস্বস্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা দেবে। তবে অন্য দেশের ভূখণ্ডে এ বোমা ব্যবহার করতে পারবে না কিয়েভ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়া খুবই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তিনি মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
এমএসএম