উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমা অতিক্রম করেও ক্রমশ বাড়ছে তিস্তার পানি। এতে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। তবে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যাপূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, চলতি মাসের বুধবার (৫ জুলাই) তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর কমে গিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে পানি বাড়তে থাকে যা বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিপৎসীমা অতিক্রমের পর ক্রমশ বাড়তে থাকে।
জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝারসিংহেসর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি চরে পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে স্থানীয়দের সতর্ক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
Advertisement
ডিমলার ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, চরে বসবাস করা মানুষরা পানিবন্দি হয়েছে। বড় বন্যার আশঙ্কা করছিলাম হয়তো তা শুরু হয়েছে। অনেক ভয়ে আছে আমার এলাকার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, বন্যায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য মানুষকে সতর্ক করছি। যেন তারা সাবধানে থাকে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জাগো নিউজকে বলেন, দুইদিনে উল্লেখ্যযোগ্য হারে পানি বেড়েছে। আজ সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সামপ্রতিক সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মানুষকে সচেতন করছি। আমাদের লোকজন বাঁধগুলোতে টহল দিচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
Advertisement
রাজু আহম্মেদ/এএইচ/জিকেএস