সাতক্ষীরার সন্দেশ, সরপুরি, প্যাড়া ও দইসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে দেশজুড়ে। তবে সম্প্রতি দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে সাতক্ষীরায় উৎপাদিত সবধরনের মিষ্টির দাম। কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি মিষ্টিতে ১০০-১৮০ টাকা দাম বেড়েছে।
Advertisement
মিষ্টি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিন আগে দুধের দাম বেড়েছে। তার ওপর প্রতিনিয়ত চিনির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে মিষ্টির ওপর। এতে বেচাবিক্রিও কমেছে।
সাতক্ষীরা শহরের সাগর সুইটস, ফকির মিষ্টান্ন, ভাগ্যকূল মিষ্টান্ন ভান্ডার ও জায়হুন ডেইরি শপ ঘুরে জানা গেছে, দাম বাড়ার কারণে সবধরনের মিষ্টির চাহিদা কমেছে। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে দানাদার ও কালোজাম নামের দুটি মিষ্টি। এগুলো আগে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়া একটু ভালোমানের মিষ্টি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা।
আরও পড়ুন: দাম বাড়ানোর প্রস্তাব: চিনির বাজারে ‘অস্থিরতা’
Advertisement
কুমিল্লা থেকে সাতক্ষীরায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি শহরের কাছারিপাড়া মোড়ের সাগর সুইটসে মিষ্টি কিনছিলেন।
শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ দোকানের মিষ্টির সুনাম রয়েছে। এজন্য যখনই সাতক্ষীরায় আসি তখন এখান থেকে মিষ্টি কিনি। তবে মিষ্টির দাম বেড়েছে। আগে যে মিষ্টি ২৫০ টাকায় কিনেছি বর্তমানে তার দাম ৪০০ টাকা।’
একই দোকানের আরেক ক্রেতা মইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়ির সবাই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। এছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন এলে মিষ্টি মুখ না করালে সম্মান থাকে না। তবে মিষ্টির দাম বাড়তি। বাধ্য হয়ে আমার মতো অনেকে বাড়তি দামে মিষ্টি কিনছেন।’
সাগর সুইটসের ম্যানেজার মো. রাজু জাগো নিউজকে বলেন, চিনি ও দুধের দাম বাড়ার পাশাপাশি জ্বালানি খরচ ও কারিগরের বেতনও বেড়েছে। বাধ্য হয়ে সবধরনের মিষ্টির দাম বাড়াতে হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: চিনির দাম কেজিতে ২৫ টাকা বাড়াতে মিলমালিকদের চিঠি
ওই দোকানে জামরুল ৩০০, গুড়ের সরপুরি ৮২০, গোলাপজাম ৩০০, প্যাড়া সন্দেশ ৪০০, আনারকলি ৩০০, স্পেশাল প্যাড়া সন্দেশ ৮৫০, হোয়াইট চমচম ৩০০, কাঁচা ছানা ৪০০, কমলাভোগ ৪৫০, স্পেশাল চমচম ও ক্রিমজাম ২৫০ ও দই খুলি ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্য সব মিষ্টির দাম কেজিপ্রতি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে সরকারিভাবে খুচরায় প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা বেঁধে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত এ দামে বাজারে চিনি পাওয়া যায় না। এক কেজি খোলা চিনির জন্য ভোক্তাকে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। কালেভদ্রে দু-এক প্যাকেট মিললেও গুনতে হয় ১৪০ টাকা বা তারও বেশি।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/এএসএম