বর্তমানে কমবেশি সবাই সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত। আসলে কর্মব্যস্ত এই জীবনে একটু আধটু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেই মানুষ সামাজিক হতে চান।
Advertisement
এটি সত্যিই যে, সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। আবার অনেক পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বহু সম্পর্কের মধ্যেই কিন্তু ফাটল দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বেশি বয়সের ব্যবধান দাম্পত্য সম্পর্ককে যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী করে
বৈবাহিক সম্পর্ক, পারিবারিক জীবন, লাভ লাইফ, বন্ধু-বান্ধব, সব সম্পর্কেই বাড়ছে দূরত্ব। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই জন্ম নেয় সন্দেহ।
Advertisement
আর সেই সন্দেহ থেকেই শুরু হয় বাদ-বিবাদ। এমনকি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের জন্য সম্পর্কে বিচ্ছেদও ঘটে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি ভুল করলে সম্পর্কে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। জেনে নিন কী কী-
সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার
অবসর পেলেই সঙ্গীকে ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোযোগ দেন অনেকেই। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনার এই অভ্যাস সঙ্গীর ভালো না লাগাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: স্বামীর কাছে যে কথা গোপন রাখেন বেশিরভাগ স্ত্রী
Advertisement
সঙ্গী পাশে থাকার সময়ও যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন বা সঙ্গী যদি সব সময় আপনাকে অনলাইনে অ্যাকটিভ দেখেন তাহলে বিবাদ হতেই পারে। এজন্য সঙ্গী পাশে থাকলে তাকে সময় দিন ও সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারে অভ্যাস ত্যাগ করুন।
সঙ্গীর পোস্টে লাইক ও কমেন্ট না করা
বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়-স্বজন সবার পোস্টেই হয়তো আপনি লাইক ও কমেন্ট করেন, তবে ভালোবাসার মানুষের কোনো পোস্ট দেখলেই হয়তো তা এড়িয়ে যান।
এই ভুল করবেন না আর। সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কিছু পোস্ট করলে তাতেও লাইক-কমেন্ট করুন। তবেই আপনাদের মধ্যে বাড়বে ঘনিষ্ঠতা। সম্পর্ক হবে দৃঢ়। আর অন্যান্যরাও আপনাদের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে সঙ্গীকে যা বলবেন
সঙ্গীর সঙ্গে ছবি পোস্ট না করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করুন। সুন্দর ক্যাপশন দিন। তবেই তো খুশি হবে আপনার ভালোবাসার মানুষ।
সঙ্গীর পোস্ট দেখে হিংসা করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় সঙ্গীর করা পোস্টে লাইক বা কোনো কমেন্ট দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বা অশান্তি ডেকে আনবেন না। এই বিষয়টিকে খুব সহজভাবে দেখুন।
মুখোমুখি কথা না বলা
ফোনে কথা বলা বা অনলাইন কমিউনিকেশনে অনেক সময় মনের ভাব ঠিকমতো প্রকাশ করা যায় না, ফলে ভুল বোঝাবুঝি আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীর মন রাখতে যে কথা বলতে পারেন
সেখান থেকেই বিতর্কের জন্ম হয়। তাই সঙ্গীর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলুন। এতে আপনারা একে অপরের আবেগ, অনুভূতি বুঝতে সক্ষম হবেন।
গোপনীয়তা বজায় না রাখা
সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ব্যক্তিগত তথ্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উৎসাহিত করে। তবে অনেকে না বুঝেই নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় বা অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফেলেন।
যা একেবারেই করা উচিত নয়। গোপন বিষয় সব সময় নিজেদের মধ্যে রাখা উচিত। গোপনীয়তার অভাবেই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জেআইএম