কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩২) ও তার বোন নাদিরা আক্তার (২৩) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের চারা লাগানোকে কেন্দ্র করে বুধবার শামসুদ্দিনের সঙ্গে তার ভাই কাদির ও ভাতিজাদের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে শামসুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন কাদিরের লোকজন।
Advertisement
এতে ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল হাসান আলমগীরের মৃত্যু হয়। এসময় গুরুতর আহত নাদিরা, সালমান (২২), খাদিজা আক্তার (৫৮) ও শামসুদ্দিনকে (৬২) স্থানীয়রা উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নাদিরাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আলমগীর সিলেটে ব্যবসা করতেন। পারিবারিক কাজে বুধবার রাতে বাড়িতে আসেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা নীলা বলেন, ঘাতকরা আমার স্বামীকে খুন করেছে। আমার ১৮ মাসের শিশু ছেলে আয়নকে তারা পিতৃহারা করলো। আমি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহত আলমগীরের বাবা শামসুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই আব্দুল কাদির ও তার দুই ছেলে আরমান ও ইমরান আমার দুটি সন্তানকে হত্যা করেছে। খুনিরা পরিকল্পিতভাবে আমার সাজানো সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে।
Advertisement
এদিকে, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এসকে রাসেল/এমআরআর/জেআইএম