প্রয়াত দেশবরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা আবদুল্লাহ আল-মামুনের ৮১তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) । এ উপলক্ষে আজ স্মারক বক্তৃতা ও নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে আবদুল্লাহ আল-মামুনের জন্মদিন উদযাপন করবে নাট্য সংগঠন ‘থিয়েটার’। এ আয়োজনে স্মারক বক্তা বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন থিয়েটার সভাপতি ফেরদৌসী মজুমদার। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
Advertisement
থিয়েটার এর পরিচালক (সাংগঠনিক) রামেন্দু মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে স্মারক বক্তৃতা দেবেন অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা।
আরও পড়ুন: মান্নান হীরা স্মারক বক্তৃতা দেবেন নাট্যজন মলয় ভৌমিক
পরে নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে থিয়েটার প্রযোজিত ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। এদিন নাটকটির ২০৫তম মঞ্চায়ন হবে। প্রয়াত আবদুল্লাহ আল-মামুন এ নাটকটির রচয়িতা এবং মঞ্চ নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
এটি ছাড়াও আবদুল্লাহ আল-মামুনের উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখনও দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনও ক্রীতদাস, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘মেহেরজান আরেকবার’ প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ দিনব্যাপী মিউজিক অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স
১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ১৯৬৬ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯১ সালে পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে অবসর নেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রেও তিনি রেখেছেন অসামান্য মেধার ছোঁয়া। ‘সারেং বউ’, ‘সখী তুমি কার’, ‘দুই জীবন’, ‘বিহঙ্গ’, ‘পদ্মাপাড়ের দৌলতী’ প্রভৃতি ছবি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।
১৯৮০ সালে ‘এখনই সময়’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০০ সালে পান একুশে পদক। ২০০৮ সালের ২১ অগাস্ট মারা যান আবদুল্লাহ আল-মামুন।
Advertisement
এমআই/এমএমফ/জিকেএস