রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা মহানগর থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে (১৮০ কর্মদিবসে) শেষ না হওয়ায় আবারও মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী দ্রুত বিচার আইনের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়ায় তা বদলির আবেদন করেন। আদালত আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি মহানগর আদালতে বদলির আদেশ দেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন>> সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন মেয়ে সাদিয়া
Advertisement
২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজকে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
Advertisement
মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
জেএ/ইএ/জেআইএম