সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে সলিড স্পার বাঁধের অন্তত ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ধসে গেছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এর বিস্তৃতি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে কাজীপুর উপজেলার যমুনা নদীর মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার বাঁধ এলাকায় এ ধস দেখা দিয়েছে। এর আগে একই স্থানে গত সপ্তাহে ৫০ মিটার ধসে গিয়েছিল।
কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব বাঁধ ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যমুনায় কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ পানি বৃদ্ধির ফলে সকালে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়। এতে মুহূর্তেই স্পারের ১৫০ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে হঠাৎ বাঁধের পাশে নোঙর করে রাখা জেলেদের ৩০টি নৌকা মাটিচাপা পড়ে। অপরদিকে স্তূপ করে রাখা বালুর একটি অংশও নদীগর্ভে চলে যায়। এতে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Advertisement
কাজীপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী অনিক ইসলাম বলেন, স্পার বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি রাতে জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি। পাউবোর ঠিকাদারের লোকজন সকাল থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, ১৯৯৭ সালে কাজীপুর উপজেলা রক্ষায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার স্পার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১২ ও ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যায়। পরে স্পারের মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, ওই বাঁধের ১৫০ মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। বিষয়টি জানার পর ভোর থেকেই সেখানে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজীপুর স্পার বাঁধে ধসের বিষয়টি জানার পর জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানো হয়েছে।
Advertisement
এম এ মালেক/এফএ/জিকেএস