জাতীয়

আফ্রিকার ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন আমদানি নিষিদ্ধের দাবি

আফ্রিকার গবাদি পশুর জন্য তৈরি করা ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন আমদানি হচ্ছে বাংলাদেশে। এতে করে আফ্রিকান পশুগুলোর নানা রোগ বাংলাদেশের পশুতে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ওই ভ্যাকসিন আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানজে করে ওয়ান ফার্মা নামের একটি কোম্পানি ওরাল ভ্যাকসিন-এফএমডি আমদানি করেছে।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের দাবি, এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউওএএইচ’র নীতিমালা মানা হচ্ছে না। এমন ভ্যাকসিন এ দেশে আমদানি নিষিদ্ধ। ডব্লিউওএএইচ’র নীতিমালা অনুযায়ী এটি শুধুমাত্র আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য বা তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে গরুর ক্ষুরা রোগ নিরাময়ে পরিবেশ ও জলবায়ু অনুযায়ী আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্য এশিয়া, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক ভ্যাকসিন উৎপাদন ও ব্যবহার বিধি নির্ধারণ করেছে ডব্লিউওএএইচ।

আরও পড়ুন: গবাদি পশুর রোগ ও প্রতিকার- প্রথম পর্ব

Advertisement

সংস্থাটি আরও বলছে, এফএমডি নামক ওই ভ্যাকসিন আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধ করা দরকার। বাংলাদেশের জন্য এফএমডি ভ্যাকসিন কী ধরনের ভাইরাস দ্বারা তৈরি হবে, তা বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মানা হয়নি এ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। যা বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ, এমনকি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাজ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। আমরা কোম্পানিটিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। এখন তারা যা আমদানি করছে সেটি দেখার দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের টেকনিক্যাল টিম রয়েছে। তিনটি বিশেষজ্ঞ টিম বিষয়টি পর্যালোচনা করে ভ্যাকসিনটি কিনেছে, সুতরাং এর ভালোমন্দের বিষয় তারাই বলতে পারবে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মন্তব্য করেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: যেভাবে গবাদি পশু কৃমির আক্রমণ থেকে রক্ষা করবেন

তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিনটি ক্ষতিকারক নয় বলে দাবি করেছে।

এ বিষয়ে ওয়ান ফার্মার হেড অব অপারেশন ডা. মোমেন সিদ্দিকী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গরুর ক্ষুরা রোগের জন্য একই ধরনের ভ্যাকসিন ব্যবহার হয়। আবহাওয়ার কারণে ভাইরাসের কোনো ভেদাভেদ হয় না। তাই আমাদের দেশেও সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পশুর যত ওষুধ আমদানি করা হয়, তার মধ্যে ওয়ান ফার্মা সবচেয়ে বেশি পরীক্ষিত। এ কারণে সরকারের বেশ কয়েকটি প্রজেক্টের সঙ্গে আমরা কাজ করছি।

এনএইচ/জেডএইচ/জেআইএম