আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে (আইসিবিএম) উত্তর কোরিয়া। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুলাই) সকালে এক ঘণ্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে জাপানের জলসীমায় গিয়ে পড়ে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র।
Advertisement
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তোলে উত্তর কোরিয়া। এ ধরনের ফ্লাইট গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দেয় পিয়ংইয়ং। চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে এমন হুমকি দিয়ে সতর্ক করার কয়েকদিনের মাথায় এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলো।
আরও পড়ুন: গুলি করে ভূপাতিত করা হবে মার্কিন গোয়েন্দা বিমান: উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের অভিযোগ, কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে ওয়াশিংটন।
Advertisement
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তাদের বিমানের ফ্লাইটগুলো আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলাচল করেছে। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয়।
তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বাহিনী কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে রুটিন অনুযায়ী নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ওয়াশিংটন ও সিউল উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আগের চেয়ে বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে কোরীয় দ্বীপে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
উত্তর কোরিয়া যখন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে এবং তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়নে কাজ করছে তখন থেমে নেই যুক্তরাষ্ট্র বা দক্ষিণ কোরিয়াও। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওয়াশিংটন এবং সিউল ওই এলাকায় যৌথ সামরিক মহড়া বাড়াচ্ছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: এখনো ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে ধোঁয়াশায় ইউক্রেন চলতি বছর একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইটসহ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। যদিও গুপ্তচর স্যাটেলাইটটির পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে দেশটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রকে এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে ‘শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বলে দাবি করা হয়।
টিটিএন