আল হাসান মিলাদ ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১১ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মো. বদরুল ইসলাম এবং মায়ের নাম শিল্পী বেগম।
Advertisement
তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেও আইটি বিভাগে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি গোয়াসপুর কুতুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমিক শিক্ষা শেষ করে রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে জেএসসি এবং ২০১৮ সালে একই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে সৈয়দ নবীব আলী কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে সিলেট জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তাছাড়া তিনি গুগল ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারের সনদপ্রাপ্ত টেকনোলজিস্ট।
একই সঙ্গে পড়াশোনা ও আইটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পড়াশোনা হচ্ছে শুধু একটি উপায়। কিন্তু আপনি যে কাজে ভালো করে ফোকাস দেবেন; সেই কাজ কিন্তু আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেই কাজ ভালো করে করতে পারবেন, সেই কাজটিকে বেছে নেবেন। দেখবেন কাজটি সুন্দর এবং স্মুথ হবে। আইন বিষয়ে পড়াশোনা করলে যে আইটি উদ্যোক্তা হতে পারবো না, সেটা কিন্তু নয়।
আল হাসান মিলাদ বলেন, আমি মাত্র ২২ বছর বয়সে ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজি অব বাংলাদেশ (আইটিবি) নামক আইটি প্রতিষ্ঠানটি চালু করি। ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করি। গত এক বছর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৩৮ জন কর্মকর্তা কাজ করেন। বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছেন ফিলিপাইন, ভারত এবং আমেরিকার কয়েকজন কর্মকর্তা।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট হচ্ছে সেলিব্রিটি। যাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা, ক্রিকেটার, ফুটবলার, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিরা।
তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার একজন ব্যবসায়ী ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজি অব বাংলাদেশের ক্লায়েন্ট ছিলেন। তিনি অনেক দেশের আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন, কিন্তু তেমন ভালো ফলাফল পাননি। পরে ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজি অব বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলার পর আমরা তাকে আশ্বাস দিই। আমাদের আশ্বাসে তিনি রাজি হন। আমরা তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি।
জেএইচ/এমএস
Advertisement