দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেফতারের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নসহ পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ধর্মঘট চলছে, বুধবার থেকে জেলাজুড়ে
Advertisement
শুক্রবার (৭ জুলাই) জৈন্তাপুরের দরবস্তে ইজিবাইকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হওয়ার জেরে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণা সালিশ কমিটির সভায় অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন বাসচালকদের ছাঁটাইয়ের দাবিতে এই সড়কে বাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী রোববার জৈন্তাপুরবাসী সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
এর প্রতিবাদে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা সোমবার থেকে এই সড়কে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বুধবার থেকে সিলেট জেলাজুড়ে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
ঘোষণা অনুযায়ী সোম ও মঙ্গলবার এ সড়কে কোনো বাস চলাচল করেনি। বুধবার থেকে যখন গোটা জেলাজুড়ে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বৈঠকে বসেন প্রশাসন এবং শ্রমিক নেতারা। দীর্ঘ আলাপ আলোচনা শেষে বাস চলাচলের ব্যাপারে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক।
Advertisement
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
আলোচনার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল হোসেন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপর জেলাজুড়ে যাত্রী সাধারণ ও শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।
ছামির মাহমুদ/জেএস/এমএস