প্রবাস

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ দিনে ৬ বাংলাদেশি খুন

দক্ষিণ আফ্রিকায় পৃথক ঘটনায় শেষ বিশ দিনে জোহানেসবার্গ, ফ্রি-স্টেট, ইস্টার্ন কেপ, কেপটাউন প্রদেশে ছয় বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার (১০ ও ১১ জুলাই) দুই বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। এছাড়া জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চার প্রবাসী দেশটিতে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (১১ জু্লাই) সকালে কেপটাউনের লিডেন ডেল্ফ এলাকায় বাংলাদেশি নাজমুল হোসেনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করে একদল বন্দুকধারী। এসময় নাজমুল হোসেনকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় বন্দুকধারীরা। নাজমুলের দেশের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দুধমুখা এলাকায় বলে জানা গেছে।আরও পড়ুন>> দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির

এর আগে ১০ জু্লাই জোহানেসবার্গের পস্তুরাল এলাকায় ডাকাতের গুলিতে শামীম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। প্রবাসীরা জানান, দাবি করা চাঁদা না পেয়ে শামীমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে শামীম মারা যান। শামীমের দেশের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে ২৬ জুন (সোমবার) ফ্রি-স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে রিগান ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি করে রিগানের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, রিগান টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

Advertisement

অন্যদিকে, ২৫ জুন (রোববার) রাত সাড়ে ৭টার সময় ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের নর্দানকেপ প্রভিন্সের স্টেকস্প্রিট শহরে দোকানে ঢুকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিনকে গুলি করে নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায় ডাকাতদল। মতিনের দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন।আরও পড়ুন>> রাতভর ডাকাতের নির্যাতনে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই বাংলাদেশি গুরুতর আহত

এর একদিন আগে ২৪ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গ শহরের ব্রামফন্টেইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে ডাকাতির সময় বাধা দিতে গেলে মাকসুদুর রহমান মহসিন নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মহসিনের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়। একই দিন সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গের সুয়েটোতে প্রবীণ বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ মোহাম্মদ হারুন নিজ দোকানে ডাকাতের গুলিতে নিহত হন। হারুনের বাড়ি নোয়াখালীর বসুরহাটে।সম্পত্তি দেশটিতে প্রবাসীদের এসব অপমৃত্যু নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কমিউনিটি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিস রহমান বলেন, প্রবাসীদের সর্তকভাবে চলাফেরা করতে হবে। এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। মরদেহ দেশে পাঠানো ও মামলা চালানোর জন্য ভোক্তভোগীদের যতটা সম্ভব সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি খুনের ঘটনা বেড়ে যাওযায় দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এমএএইচ/

Advertisement