রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি ও আটকের অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে রাত ১২টা পর্যন্ত বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আটকের খরব পাওয়া গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের এ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তবে পুলিশ বলছে, এটা তাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ।আরও পড়ুন>> ২৩ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
আটকরা হলেন- কাঞ্চন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কুহিনুর আলম, কাঞ্চন পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনিপর সভাপতি মজিদ ভূঁইয়া, কাঞ্চন পৌরসভা জিয়া পরিষদের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিমুল, সিদ্ধিরগঞ্জের ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, গাজী মাসুম ও হযরত আলী। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
অন্যদিকে, রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির খবর পাওয়া যায়। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। তাদের মধ্যে একজনকে বাড়ির আঙিনা থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আমার জানামতে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নামে কোনো মামলা কিংবা ওয়ারেন্ট ছিল না। সমাবেশে যেন লোকজন কম হয় সেজন্য এ ধরপাকড় করা হচ্ছে। তবে, আমাদের নেতাকর্মীদের কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না।আরও পড়ুন>> একদফার কর্মসূচি ঘোষণা ১২ জুলাই: আমীর খসরু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যেসব বাস ঠিক করেছিলাম সেসব যাবে না বলে আমাদের জানিয়ে দিয়েছে। বিএনপি যেকোনো কর্মসূচির সময়েই সরকারি দলের লোকজন এসব কাজ করে থাকে। সেইসঙ্গে পুলিশের সদস্যরা নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আগামীকাল (বুধবার) সমাবেশের প্রাক্কালে অন্যায়ভাবে হয়রানিমূলকভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এভাবে অন্যায়ভাবে আটক করা গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না। এসব কাজ করে প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আর আটক করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করবোই।আরও পড়ুন>> জামায়াত ছাড়াই এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি
তবে, এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, আমাদের বিশেষ কোনো অভিযান নেই। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টিম যাবে। সেই সঙ্গে তারা পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করবে। এটা বিশেষ কোনো অভিযান না।
Advertisement
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার (১২ জুলাই) আয়োজিত সমাবেশের মধ্যদিয়ে সরকারবিরোধী একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিএনপি। এদিন দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। সে লক্ষ্যে বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমএএইচ/