মোস্তাফিজের মত তিনিও বাঁহাতি। তবে মোস্তাফিজুর রহমান যেমন ক্যারিয়ারের শুরু থেকে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন, শরিফুল ইসলাম তা পারেননি।
Advertisement
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল শেরে বাংলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই বল হাতে ঝড় তোলেন মোস্তাফিজ।
২০১৫ সালের জুনে শেরে বাংলায় ভারতের সাথে ওয়ানডে অভিষেকেই ৫ উইকেট (৫০ রানে)। ঠিক পরের খেলায় নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়া, ৪৮ রানের ভারতের ৬ উইকেটের পতন ঘটিয়ে রীতিমত আলোড়ন তোলা।
তারপর থেকেই আসলে কাটার মাস্টার হিসেবে চারিদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তার কাটার আর স্লোয়ারে বাঘা বাঘা উইলোবাজরাও খাবি খেতে শুরু করেন। কিন্তু সময়ের প্রবাহতায় সেই ধার গেছে কমে। এখন মোস্তাফিজের জারিজুরি অনেকটাই জানা হয়ে গেছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।
Advertisement
সেই কাটার আর স্লোয়ারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতায় মোস্তাফিজের কার্যকারিতা গেছে কমে। তাই আগের ম্যাচে ৬০ রানে ২ উইকেট দখলের পরও আজ শেষ খেলায় শরিফুলকে দলে নেওয়া।
আর শরিফুলও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিলেন। ৯ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে শরিফুল জানিয়ে দিলেন, বিকল্প হিসেবে তিনিও কম যাবেন না। তার ওপরও আস্থা রাখা যায়। তিনিও কাজের কাজ করে দিতে পারেন। খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, বিশ্বকাপে যদি মোস্তাফিজের বিকল্প হিসেবে শরিফুলকে বিবেচনায় আনা হয়, তাহলে কেমন হবে? শরিফুল কতটা প্রস্তুত? মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ের পর মিডিয়ায় কথা বলতে এসে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন শরিফুলও। বাঁহাতি এই পেসার খুব বিনয়ের সঙ্গে বলার চেষ্টা করলেন, ‘মোস্তাফিজ ভাই আমাদের স্টার পেসার। এমন একটা-দুইটা ম্যাচে হয়তো দায়িত্ব পেতেও পারি।’
এরপর বলে উঠলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আছে যে বিশ্বকাপে যেই সুযোগ পায়, উনি বা আমি, সবাই সেরাটা দিতে চেষ্টা করব।’
আগ্রাসন ও সঠিক জায়গায় বোলিংটা রপ্ত করতে কী কী করেছেন? শরিফুল জানালেন, ‘আমি অনেকদিন ধরে অনুশীলন করছি, হাথু স্যার (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) স্পেশালি আমাকে নিয়ে এক্সট্রা কাজ করেছেন, অনেকগুলো দেখিয়েছেন। আমি যখন বাসায় ছিলাম, উনি আমাকে বোলিংয়ের বেশ কয়েকটি ভিডিও দিয়েছিলেন। তো আমি ওভাবেই করছিলাম। অনুশীলনে করতে করতে আমি ওটা ম্যাচে অ্যাপ্লাই করেছি।’
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/