তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করবেন, যদি আঙ্কারাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়। সোমবার (১০ জুলাই) লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সম্মেলনের জন্য দেশ ছাড়ার আগে এমন কথা বলেন তিনি।
Advertisement
এরদোয়ান বলেন, প্রথমে তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়ার পথ খুলে দিন। তারপর আমরা সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সমর্থন দেবো, যেমনটি আমরা ফিনল্যান্ডের জন্য করেছিলাম। রোববার ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও একই কথা বলেছেন বলেছেন জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: ওয়াগনারের ভয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে পোল্যান্ড
এদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটলে কিয়েভের পক্ষে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
Advertisement
এরদোয়ান আরও বলেন, ন্যাটোর প্রায় সব দেশই ইইউয়ের সদস্য। আর তুরস্কের ইইউ সদস্য পদে যেসব নেতারা বাধা দিয়েছিলেন, তারাই চাচ্ছেন আঙ্কারা যেনো সুইডেনের ন্যাটো প্রার্থিতাকে সমর্থন দেয়। কিন্তু আমি বাস্তবতার ওপর জোর দিতে চাই। তুরস্ক ৫০ বছর ধরে ইইউতে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: গুলি করে ভূপাতিত করা হবে মার্কিন গোয়েন্দা বিমান: উত্তর কোরিয়া
১৯৮৭ সালে তুরস্ক প্রথম ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, যা ইইউয়ের পূর্বসূরী। দেশটি ১৯৯৯ সালে ইইউয়ের প্রার্থী দেশ হয় ও ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের সঙ্গে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু তুরস্কের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপীয় উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে সে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে যৌনতাপূর্ণ ছবি, বিবিসির দুই কর্মী বরখাস্ত
Advertisement
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলমান শীতল যুদ্ধের সামরিক নিরপেক্ষতার নীতি পরিত্যাগ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত বছর ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্য পদে সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেও তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনো সুইডেনকে সমর্থক দেয়নি।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
এসএএইচ