যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে উত্তর কোরিয়া। এ ধরনের ফ্লাইট গুলি করে ভূপাতিত করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পিয়ংইয়ং।
Advertisement
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতের নিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে যৌনতাপূর্ণ ছবি, বিবিসির দুই কর্মী বরখাস্ত
Advertisement
‘কোরিয়ার পূর্ব দিকের সাগরে মার্কিন বিমান বাহিনীর কৌশলগত নজরদারি বিমান ফেলে দেওয়ার মতো শোচনীয় দুর্ঘটনা ঘটবে না, তার বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
এর আগে আরেক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে এবং উপকূলীয় জলসীমায় মার্কিন বিমানকে বাধা দেওয়ার বা গুলি করে ভূপাতিত করার যেসব ঘটনা ঘটিয়েছিল সেগুলো উল্লেখ করা হয়।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে এমন চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক তা কেউ চায় না। ফলে এ অঞ্চলে যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করা হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর ১১শ কোটির সম্পত্তি পেলেন প্রেমিকা
Advertisement
উত্তর কোরিয়ার এসব বক্তব্যের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মন্তব্য চাওয়া হলেও, তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয়। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ নজরদারি বাহিনী কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে রুটিন অনুযায়ী নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ওয়াশিংটন ও সিউল উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খবর পড়ছে এআই, ঝুঁকিতে টিভি উপস্থাপকদের চাকরি?
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া গত এপ্রিলে সম্মত হয় যে, মার্কিন নৌবাহিনীর একটি পারমাণবিক সশস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবে। যদিও এ ধরনের সফরের জন্য তখন কোনো সময়সূচি দেওয়া হয়নি। তবে গত মাসে একটি মার্কিন পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে পৌঁছেছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ