আন্তর্জাতিক

পরীক্ষার হলে মা, বাইরে বাচ্চা কোলে দায়িত্ব সামলালেন পুলিশ সদস্য

হাইকোর্টের পিওন পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা হবে। তাতে অংশ নিতে ছয় মাসের বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই হাজির হয়েছিলেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে ছোট্ট শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করায় বিপাকে পড়েন মা। এ অবস্থায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক নারী পুলিশ সদস্য। মাকে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে পুরোটা সময় বাচ্চাটি কোলে নিয়ে নিজের ডিউটি সামলান তিনি।

Advertisement

জানা গেছে, সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে। এর ছবি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন>> কুকুর হারিয়েছে কমিশনারের, দেড় দিনে ৫০০ বাড়িতে তল্লাশি পুলিশের!

আহমেদাবাদ পুলিশের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই অনন্য মুহূর্তের তিনটি ছবি শেয়ার করা হয় গত রোববার (৯ জুলাই)। এতে দেখা যায়, এক নারী কনস্টেবল একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তার সঙ্গে খেলা করছেন।

Advertisement

ઓઢવ ખાતે પરીક્ષા આપવા માટે આવેલ મહીલા પરીક્ષાર્થીનુ બાળક રોતું હોય જેથી મહિલા પરીક્ષાથી નું પેપર દરમિયાન સમય બગડે નહીં અને પરીક્ષા વ્યવસ્થિત રીતે આપી શકે તે સારું મહિલા પોલીસ કર્મચારી દયાબેન નાઓએ માનવીય અભિગમ દાખવી બાળકને સાચવેલ જેથી માનવીય અભિગમ દાખવવામાંઆવેલ છે pic.twitter.com/SIffnOhfQM

— Ahmedabad Police અમદાવાદ પોલીસ (@AhmedabadPolice) July 9, 2023

ইন্ডিয়া টুডের খবরে জানা যায়, গুজরাট হাইকোর্টের পিওন পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। এদিন ছয় মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন এক নারী পরীক্ষার্থী। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হবে, কিন্তু এমন সময় বাচ্চাটির কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না।

আরও পড়ুন>> হাত দিলেই উঠে আসছে সড়কের পিচ, ঠিকাদারের দাবি ‘জার্মান প্রযুক্তি’

এ অবস্থায় ওই নারীর দিকে এগিয়ে যান দয়া বেন নামে এক নারী কনস্টেবল। পরীক্ষার্থীর সমস্যা বুঝতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। বলেন, ‘আপনি পরীক্ষা দিতে যান। আমি বাচ্চার খেয়াল রাখছি।’

Advertisement

এরপর পরীক্ষার পুরোটা সময় বাচ্চাটি কোলে রাখেন দয়া বেন। পাশাপাশি হলের নিরাপত্তা রক্ষায় নিজের দায়িত্বও সামলান সুষ্ঠুভাবে।

আরও পড়ুন>> কাশ্মীরের ‘উন্নয়ন’ দেখাতে গিয়ে পটুয়াখালীর ছবি ব্যবহার

নারী কনস্টেবলের এমন মহানুভবতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সবাই। একজন লিখেছেন, ‘দারুণ কাজ। সত্যিই প্রশংসনীয়!’

আরেক ব্যক্তির মন্তব্য, ‘আপনাকে স্যালুট।’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।’

কেএএ/