আন্তর্জাতিক

মায়ের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ১৩ মাসের শিশুর মৃত্যু

মায়ের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারালো ১৩ মাস বয়সী এক শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এনবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই মা তার গাড়ি সরানোর সময় ভুলবশত এর নিচে শিশুটি চাপা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

Advertisement

গত ৬ জুলাই ইয়াভাপাই কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ে একটি ফোনকল আসে। সে সময় এক নারী জানান, তিনি ভুল করে তার ১৩ মাস বয়সী মেয়ের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চীনে কিন্ডারগার্টেনে ছুরিকাঘাতে শিশুসহ নিহত ৬

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাফরিয়া থর্নবার্গ নামের ওই নারী তার বাড়ির পাশের একটি জায়গায় গাড়ি পার্ক করছিলেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন মেয়েকে গাড়ির সিটে নিরাপদ দূরত্বেই রেখেছিলেন।

Advertisement

কিন্তু গাড়িটি স্থান পরিবর্তন করার সময়ই বাঁধে বিপত্তি। শিশুটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। পরবর্তীতে শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

নিহত ১৩ মাস বয়সী সাইরা রোজ থোমিং

এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় তার মায়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হবে কি না সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। নিহত শিশুটির পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। ১৩ মাসের ওই শিশুটির নাম সাইরা রোজ থোমিং। শিশুটির চাচা তার জন্য গোফাউন্ডমি নামে একটি তহবিল গঠন করেছেন। তিনি শিশুটিকে পৃথিবীর আলো বলে উল্লেখ করেছেন। শিশুটির যার সঙ্গেই দেখা হতো তাকে দেখেই মিষ্টি হাসি দিত।

তিনি লিখেছেন, সাইরা রোজ থোমিং পৃথিবীর আলো। যার সঙ্গেই তার দেখা হতো সে মিষ্টি করে হাসতো। তার উপস্থিতি সবাইকে আনন্দ দিত। ২০২২ সালের ১৬ মে তার জন্ম হয়। কিন্তু একটি ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গত ৬ জুলাই, ২০২৩ তারা মৃত্যু হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে পা রেখেছেন বাইডেন

তিনি আরও লিখেছেন, সাইরার এই সংক্ষিপ্ত সুন্দর জীবনে সে বাইরে ঘুরতে পছন্দ করতো। প্রকৃতি, পরিবার, প্রাণী এবং পানির সঙ্গে খেলতে পছন্দ করতো সে। এমন কেউ নেই যে তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে আনন্দ পায়নি। সে সবার দিনটিকে আরও ভালো করে দিতো। যে কারও দান করা অর্থ সরাসরি ওই তহবিলে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। এই অর্থ শিশুটির শেষকৃত্যে কাজে লাগবে এবং এই দুঃসময়ে তার বাবা-মায়ের বোঝা কিছুটা হালকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

টিটিএন