দেশজুড়ে

বৃষ্টিতে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, বন্যা আতঙ্কে মানুষ

দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় সংস্কারের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০টি অংশে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা আতঙ্কে দিন কাটছে গাইবান্ধা পৌরবাসীর।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গাইবান্ধা শহর রক্ষায় প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রতিবছর নদীর পানি ফুঁসে উঠলেই বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বাঁধে ছিদ্র ও ধস শুরু হয়।

এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের তিন কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজই শুরু হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান দিয়ে যেকোনো মুহূর্তে পানি প্রবেশ করে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থান। এছাড়া ঘাঘট নদীতে পানির চাপ বাড়লে বাঁধটির ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পৌরশহর তলিয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের কাজ বালু দিয়ে করা হয়েছে। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার কোনো কথা শোনেনি। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। এজন্য সামান্য বৃষ্টিতেই বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়। নদীতে পানি বাড়লে বাঁধ ধসে বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।

Advertisement

পৌরশহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ভাঙা বাঁধ দিয়ে হেঁটেই ভালোভাবে চলাফেরা করা যায় না। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটি ধসে যায়। এ সময় আমাদের চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

বাঁধের পাশের বাসিন্দা আমজাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, বাঁধ নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি। রাতারাতি নদীতে পানি বাড়লেই এ বাঁধ ধসে যেতে পারে। এমনকি বন্যার পানি বাড়লে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

সালমা বেগম নামের বাঁধের আরেক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, সময় থাকতে বাঁধের কাজ করবে না। আমরা বন্যা আসার আগেই ডুবি। তারপর কয়েকটা বালুর বস্তা ফেলবে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের কিছু জায়গায় রেইনকার্ট হয়েছে। সেগুলো আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই ধসে যাওয়া অংশের মেরামত শেষ হবে।

Advertisement

এসজে/এমএস