খেলাধুলা

ভারতকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা নিউজিল্যান্ডের

লক্ষ্য মাত্র ১২৭ রানের। ভারতের যে বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ, তাতে এই রানকে তো মনে হচ্ছিল যেন একেবারেই নগন্য। এক ফুৎকারে যেন উড়ে যাবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু যে ফাঁদ নাগপুরে কিউইদের জন্য তৈরি করেছিল ভারত, সেই ফাঁদেই ধরা পড়লো তারা। স্পিনিং ট্র্যাক তৈরি করে ভারতীয়রা ভেবেছিল খুব কম রানেই বেঁধে ফেলেবে নিউজিল্যান্ডকে। সফলও হয়েছিল। ১২৬ রানে বেঁধে ফেলেছিল তারা।কিন্তু জয়ের জন্য ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উল্টো কিউই স্পিনেই ধোনির দল শেষ হয়ে গেলো মাত্র ৭৯ রানে। ফলে উদ্বোধনী ম্যাচেই কিউইদের কাছে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করতে হলো টপ ফেভারিট ভারতকে। একই সঙ্গে শুভ সূচনা করলো নিউজিল্যান্ড।শুধু পরাজয়ই নয়, একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের কাছে নিউজিল্যান্ড একটি রহস্যই থেকে গেলো। টি-টোয়েন্টিতে ভারত অবিসংবাধিতভাবে সেরা। অথচ, নিউজিল্যান্ড তাদের কাছে সব সময়ই এক দুর্বোধ্য রহস্যের নাম। এই ফরম্যাটে কিউইদের কখনো হারা্তে পারেনি তারা। এ নিয়ে মোট ৫ বার মুখোমুখি হয়ে সবগুলোতেই হেরেছে ভারতীয়রা।নাগপুরের বিদর্ভ স্টেডিয়ামকে ভাবা হয়েছিল ব্যাটিং উইকেট। কিন্তু এখানে যে স্পিন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে তা নিউজিল্যান্ডের দল দেখেই বোঝা গিয়েছিল। দলের দুই সেরা এবং ইনফর্ম পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদিকে বসিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে মিচেল সান্তনার এবং ইশ শোধিকে।একই সঙ্গে আগে থেকেই ছিলেন নাথান ম্যাককালাম। এই তিন স্পিনারের বলেই নাকাল হয়েছে ভারতের তথাকথিত বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ। এই তিন স্পিনার মিলেই নিয়েছেন ভারতীয়দের ৯ উইকেট, বাকিটি পেসার অ্যাডাম মিলনে।১২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ১২ রানে ৩টি, ২৬ রানে ৪, ৩৯ রানে ৫টি- এভাবেই একের পর এক ক্রিজে এসে উইকেটে বিলিয়ে দিতে শুরু করেন ভারতীয়রা। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারেই ৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। অধিনায়ক ধোনিই সর্বোচ্চ ৩০ বলে করেন ৩০ রান। ২৩ রান করেন বিরাট কোহলি। ১০ রান করেন অশ্বিন। বাকিদের কেউই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। গোল্ডেন ডাক মেরেছেন ৩ জন ব্যাটসম্যান।কিউই বোলারদের মধ্যে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার। ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইশ শোধি, ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাথান ম্যাককালাম। ৮ রান দিয়ে বাকি উইকেট দখল করেন অ্যাডাম মিলনে।এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বিপর্যয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডও। তবে কোরি অ্যান্ডারসনের ৩৪, লুক রনকির ঝড়ো ২১, সান্তনারের ১৮ রানের সুবাদে কিউইরা শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৬ রান। অসাধারণ খেলা উপহার দেয়া মিচেল সান্তনারের হাতেই উঠলো ম্যাচ সেরার পুরস্কার।বিএ/আইএইচএস

Advertisement