দেশজুড়ে

গোয়ালন্দ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর ও ঢাকা কার্যালয় এবং রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে, অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল। একটি কুচক্রি মহল তার সন্মানহানি ও উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তার অভিযোগ।

জানা গেছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত এই অভিযোগ করেছেন গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নছরউদ্দিন সরদারপাড়ার মো. শাহীন শেখ। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।

এছাড়া, পৌরসভাধীন গরুর হাট অসাধু উপায় ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার অভিযোগে গোয়ালন্দের মণ্ডল ট্রেডার্সের মালিক নাসিম মাহামুদ ইভান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। এছাড়া মেয়রের বিরুদ্ধে পৌরসভার শূন্য ছয়টি পদে গোপনীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পর্কে এখনো কিছুই জানি না। আর কে কি অভিযোগ করেছে সেটাও জানি না।

তিনি বলেন, আসলে কাজ করতে গেলে অনেক শত্রু তৈরি হয়। যে কারণে অনেকে আমাকে পছন্দ করেন, আবার অনেকে করেন না। তাছাড়া এ বিষয়ে দুদক থেকে কোনো চিঠিও পাইনি। তবে অভিযোগ হলে দুদক তদন্ত করুক। এ বিষয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথাও নেই। কারণ, আমি যেসব কাজ করেছি সবকিছু দৃশ্যমান।

তিনি আরও বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে দুইটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ও পৌর কার্যালয়ে নোটিশ বোর্ডে নোটিশ টানানো হয়েছে। এখনো পরীক্ষাই হয়নি। কিন্তু এসবের আগেই দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। তাহলে কী বোঝা যায়? আসলে আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর উন্নয়ন দেখে একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়। তবে আমি এসবে বিচলিত না। সম্মানহানি করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু পরিষ্কার করবো।

দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, গোয়ালন্দ মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।

Advertisement

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গরুহাট ইজারার বিষয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রুবেলুর রহমান/এমআরআর/জেআইএম