সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’ সিনেমাটি। এটি মুক্তির দিন থেকেই একের পর এক সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে হয়েছে। ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হন সিনেমার সংলাপ রচয়িতা মনোজ মুনতাশির।
Advertisement
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নিঃশর্ত’ ক্ষমা চাইলেন তিনি। নিজের টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে এ সিনেমা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: ‘আদিপুরুষ’ প্রথম সপ্তাহে ৩০০ কোটির ক্লাব পার করেছে
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দি ও ইংরেজি, দুই ভাষায় পোস্ট করে ক্ষমা চেয়ে নেন মনোজ মুনতাশির। এ পোস্টে তিনি লেখেন, আমি মেনে নিচ্ছি যে ‘আদিপুরুষ’ সিনেমার দ্বারা সাধারণ মানুষের ভাবাবেগ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। হাত জোড় করে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। প্রভু বজরংবলি যেন আমাদের একত্রিত রাখেন এবং অটুট থেকে আমরা যেন পবিত্র সনাতন ও মহান দেশের সেবা করার শক্তি দেন।
Advertisement
সেই বার্তায় জবাব দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। একজন লেখেন, যাই হোক, দেরিতে হলেও সই। বজরংবলী যেন আপনাকে শক্তি দেন। অপর একজন লেখেন, কখনো কখনো ভালো মানুষের হাত দিয়েও ভুল হয়ে যায়। কিন্তু আপনার ক্ষমাপ্রার্থনা প্রমাণ করে যে আপনি সত্য সনাতনি। ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুন।
আরও পড়ুন: ‘আদিপুরুষ’ ১ দিনের ব্যবসায় ‘পাঠান’ সিনেমাকে পেছনে ফেলেছে
ওম রাউত পরিচালিত, ‘আদিপুরুষ’ সিনেমাটি হিন্দু মহাকাব্য ‘রামায়ণ’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সিনেমাটি মুক্তির আগে আলোচনার শীর্ষে তো ছিলই, কিন্তু মুক্তির পর অজস্র সমালোচনা ও কটাক্ষের শিকার হয় এ সিনেমা।
দর্শক থেকে সমালোচক, সকলেই প্রায় সিনেমার বিশেষ কিছু সংলাপের বিরুদ্ধে সরব হন। ‘মরেগা বেটা’, ‘বুয়া কা বগিচা হ্যায় কেয়া’ বা ‘জলেগি তেরে বাপ কি’ ইত্যাদি ধরনের কিছু সংলাপে প্রবল আপত্তি তোলেন দর্শকবৃন্দ।
Advertisement
A post shared by Manoj Muntashir Shukla (@manojmuntashir)
প্রবল সমালোচনা ও নেতিবাচক রিভিউয়ের মুখে পড়ে সিনেমার নির্মাতারা সংলাপ সংশোধন করেন। কিন্তু ততদিনে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক ও লেখকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুম্বাই পুলিশকে চিঠিও পাঠানো হয় ‘অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষে।
‘আদিপুরুষ’ সিনেমায় রামচন্দ্রের ভূমিকায় দেখা গেছে প্রভাসকে। সীতার চরিত্রে কৃতী শ্যানন, লক্ষ্মণের চরিত্রে সানি সিংহ ও লঙ্কেশ রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেন সেফ আলি খান।
এমএমএফ/জেআইএম