ছক্কা দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিলের ছক্কায় মনে হচ্ছিল, উদ্বোধনী ম্যাচে বুঝি ভারতীয় বোলারদের ওপর ঝড় তুলবেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা; কিন্তু যতটা আশা নিয়ে শুরু হলো, ততটা হতাশায় পরিণত হলো পরের বলেই। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে গেলেন গাপটিল। ৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ফিরে গেলেন কলিন মুনরোও।নাগপুরের বিদর্ভ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড এবং স্বাগতিক ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংস ওপেন করতে নামেন মার্টিন গাপটিল এবং কেনে উইলিয়ামসন। প্রথম ওভার করার জন্য ভারত অধিনায়ক বল তুলে দিলেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে। প্রথম বল মোকাবেলা করেন গাপটিল। কিউই এই মারকুটে ব্যাটসম্যান প্রথম বলেই অশ্বিনকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন। বোলারের মাথার ওপর দিয়েই স্ট্রেইট ছক্কা। টুর্নামেন্টের প্রথম বলেই এলো ছক্কার মার!তবে, নিউজিল্যান্ডের দুর্ভাগ্য। দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে গেলেন গাপটিল। অশ্বিনের ইনসুইং বলটি খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। জোরালো আবেদনে আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেনা। অথচ রিপ্লাইতে দেখা গেলো, এই বলে কোনভাবেই এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। গাপটিল আউট হয়ে গেলে কলিন মুনরো মাঠে নামেন এবং নিজের দ্বিতীয় বল, ইনিংসের চতুর্থ বলে আবারও ছক্কা মারেন তিনি। অথ্যাৎ টুর্নামেন্টের প্রথম ওভারেই এলো দুটি ছক্কা।দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেট। এবার আশিস নেহারর হাতে উইকেট দিলেন কলিন মুনরো। তার বলে মুনরো ক্যাচ তুলে দিলেন হার্দিক পাণ্ডের হাতে। নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১৩। শুরুতেই দলের দুই মারকুটে ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে সত্যিই বিপদে নিউজিল্যান্ড। গাপটিল আর মুনরো এমন দু’জন ব্যাটসম্যান, যারা কিছুদিন আগেই একই ইনিংসে পর পর দুটি রেকর্ড গড়েছিলেন। গাপটিল প্রথমে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বলে (২১) হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। এরপর একই ইনিংসে মুনরো ১৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন। হয়ে যান টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিয়ান।এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২ রান। কোরি এন্ডারসন ৪ এবং কেনে উইরিয়ামসন ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement