মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুর আলম।
তিনি জানান, এরইমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে। তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল হোসেন প্রধান। এছাড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস সদস্য সচিবসহ আরও তিন কর্মকর্তা রয়েছেন কমিটিতে।
তদন্ত কমিটি প্রথমত দেখবে ঘটনাটি ঘটেছে কিনা। কীভাবে ঘটেছে, এ ঘটনায় হাসপাতালে দায়িত্বরত কারো অবহেলা আছে কিনা, একইসঙ্গে ঘটনার পরে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীর এ নিয়ে কোনো সহযোগিতা ছিল কিনা।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, থানায় মামলা করেছেন ওই কিশোরীর মা। তদন্ত কমিটির কাজ শেষে আমরা যদি কারো দায়িত্বে অবহেলার প্রামাণ পাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মামলা দায়েরের ১৭ ঘণ্টা পরও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান।
তিনি জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় শাকিল নামের একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ছাদে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাকিল ভয় দেখিয়ে ছাদে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
Advertisement
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শাকিল চরমশুরা গ্রামের মো. হাবিবুরের ছেলে। তারা শহরের ২নং ওয়ার্ডের খালইস্ট এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ভাড়াটিয়া।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এএসএম