আন্তর্জাতিক

গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত, ধরে এনে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে হত্যা

পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির কাছে একজন ফিলিস্তিনির গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই ফিলিস্তিনিকে।

Advertisement

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। তারা বলছে, তাদের একজন সদস্য এই হামলা চালিয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেনিনে ইসরায়েলের দুদিনের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে বৃহস্পতিবারের এই হামলা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার সংবাদে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সন্দেহজনক হওয়ায় আক্রমণকারী ব্যক্তিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরের কেদুমিম বসতির কাছে তার গাড়িটি পরীক্ষা করার জন্য থামানো হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি তখন গুলিবর্ষণ করলে এক সেনা নিহত হন।

আরও পড়ুন: জেনিন ছাড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী

Advertisement

ঘটনার পর আক্রমণকারী পালিয়ে যান। পরে তাকে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ‘ওয়াফা’ ওই বন্দুকধারীকে পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে কিবিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে শনাক্ত করেছে। তার নাম আহমেদ ইয়াসিন হিলাল গিথান।

যে এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে সেখানে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ থাকেন। তিনি পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার তত্ত্বাবধান করেন, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শত্রুরা জানে, জেনিনে আমাদের জনগণের ওপর হামলার কারণে প্রতিশোধ বেড়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ১২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি, পাল্টা হামলায় ইসরায়েলি সেনা নিহত

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের নৃশংস সামরিক হামলায় তিন শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একজন ইসরায়েলি সেনাও নিহত হন।

ফিলিস্তিনে এটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ।

জেডএইচ/এমএস