জাগো জবস

কর্মস্থলে আচরণ কেমন হওয়া উচিত

আমরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় কাটাই কর্মস্থলে। জীবিকা নির্বাহ করতে কর্মস্থলই আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে বিভিন্ন মানসিকতার মানুষ কাজ করেন। একেক জনের ব্যক্তিত্ব, স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচরণ একেক রকম। তাই কোনো কর্মস্থলে যোগদানের পরই সেখানকার পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে ধারণা নিতে হয়।

Advertisement

কর্মস্থল যেহেতু আমাদের পেশাদারিত্বের জায়গা। তাই নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। নিজের ইচ্ছেমতো চলার সুযোগ এখানে নেই। এমনকি শুধু কাজে পারদর্শী হলেই সফল হওয়া যায় না। তাই প্রত্যেককেই জানতে হবে সঠিক আচরণবিধি। এই জানার সঙ্গে সঙ্গে মানতেও হবে এসব আচরণবিধি।

ধারণা অর্জনচাকরিতে যোগদানের পর নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা অর্জন করতে হবে। কর্মস্থলের নিয়ম-কানুন মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। চাইলেই ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: ই-কমার্স নির্দেশিকায় কী আছে কী নেই

Advertisement

সময়ানুবর্তিতাযথাসময়ে কর্মস্থলে প্রবেশ এবং যথাসময়ে কর্মস্থল থেকে বের হওয়া উচিত। যানজট, অসুস্থতা, ব্যস্ততার অজুহাত না দেখানোই উত্তম। ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, অফিসের ক্ষেত্রেও তেমন গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

আচার-আচরণকর্মস্থলে ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে। কথা-বার্তা, হাঁটা-চলা, ওঠা-বসার মধ্যে মার্জিত আচরণ থাকতে হবে। যে কোনো বিষয়ে সংযমবোধ থাকতে হবে। সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা জরুরি। এতে প্রত্যেকেরই কাজের গতি বাড়বে।

সততা ও নিষ্ঠাকর্মস্থলে নীতি ও সততার সঙ্গে কাজ করা উচিত। সহকর্মীকে বিপদে ফেলতে অসৎ উপায় অবলম্বন করা যাবে না। সব সময় কাজের মানের ক্ষেত্রে আপসহীন হতে হবে। তাই সততার খাতিরে নিষ্ঠাবান হওয়া জরুরি।

আরও পড়ুন: গ্রোথ মার্কেটিংয়ে অপার সম্ভাবনা আছে: মেহজাবিন বাঁধন

Advertisement

বিরক্ত করাঅযথা উচ্চস্বরে কথা বলে বা অন্যের কাজের সময় বিরক্ত করে কাজের ব্যাঘাত ঘটানো ঠিক নয়। এতে নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। নিজের গুরুত্ব দিন দিন কমতে থাকে।

সাফল্য অর্জনকর্মস্থলের সাফল্যই আপনার সাফল্য। তাই অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হওয়া ঠিক নয়। বরং তাকে অভিবাদন জানাতে পারেন। সহকর্মীকে প্রতিশ্রুতি দিলে কাজটি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করবেন। তাহলে আপনিও সফল হবেন।

প্রাণবন্ত থাকুনযে কোনো কর্মস্থলেই সব সময়ে প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি থাকা জরুরি। এতে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সহকর্মীদের কাজেরও সহযোগিতা হয়ে থাকে। অফিসের দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে বেশি সচেতন থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না: এম এ মান্নান

কৃতজ্ঞতা প্রকাশকর্মস্থলে কারো দ্বারা উপকৃত হলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কারণ কর্মস্থলে সহজে উপকার পাওয়া যায় না। তাছাড়া যে কেউ যে কোনো উপকার করলে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করা উত্তম আচরণের দৃষ্টান্ত।

সমান চোখে দেখাসবাইকে সমান চোখে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সহকর্মী বয়সে বড় হলেও পদমর্যাদায় ছোট হতে পারেন। আবার কেউ বয়সে ছোট হলেও যোগ্যতায় বড় পদে কর্মরত থাকেন। তাই সমানভাবে সম্মান ও স্নেহ করা উচিত।

এসইউ/জেআইএম