আন্তর্জাতিক

ওয়াগনার প্রধান এখন রাশিয়ায়

গত মাসে রাশিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন আর বেলারুশে নেই। তিনি বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ গত মাসে হঠাৎ করেই রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। সে সময় ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে তারা রুশ বাহিনীর ওপরই পাল্টা আক্রমণ চালায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে ধোঁয়াশায় সুইডেন

মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই ওয়াগনার গ্রুপের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন ইয়েভজেনি। এসব ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, রাশিয়া বাখমুতে তাদের ওপর নির্ভর করলেও তাদের কোনোরকম সাহায্য করা হচ্ছে না। ফলে গোলাবারুদের অভাবে তার বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে।

বাখমুত থেকে গ্রুপের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরেই দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায় মস্কো। প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানায়, ওয়াগনার গ্রুপকে সবরকম সাহায্য করা হবে। তাদের গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।

Advertisement

এদিকে ওয়াগনারের বিদ্রোহের সময় একটি ভিডিওতে এই গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন এলাকার সামরিক দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারপর থেকেই তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

এক সপ্তাহ আগেই লুকাশেনকো জানিয়েছিলেন যে, প্রিগোজিন বেলারুশে পৌঁছেছেন। তবে বৃহস্পতিবার বেলারুশের এই নেতা জানান, প্রিগোজিন এখন সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থান করছেন, বেলারুশে নয়।

জুনের শেষ দিকে প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত বিমান বেলারুশে ভ্রমণ করেছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই দিনে তিনি রাশিয়ায় ফিরে এসেছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: আড়াই লাখ টাকার টমেটো চুরি, থানায় ছুটলেন কৃষক

Advertisement

যুদ্ধের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি জায়গা রুশ সেনারা দখল করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন তার বেশ কয়েকটি পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে। বাখমুত ইউক্রেন ও রাশিয়া কৌশলগত অঞ্চল বলে মনে করা হয়। ফলে কোনো দেশই বাখমুত ছাড়তে চাইছে না। সে কারণেই যুদ্ধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেসরকারি ওয়াগনার গ্রুপকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।

টিটিএন