বিনোদন

চলে গলেন পপ গায়িকা কোকো লি

মাত্র ৪৮ বছরেই থেমে গেলো ডিজনি তারকা ও পপ গায়িকা কোকো লির কণ্ঠ। তিনি বুধবার (৬ জুলাই) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে এক পোস্টে তার বোন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবিসির প্রকাশিত সংবাদে এমনটাই জানা গেছে।

Advertisement

জানা গেছে, কোকো লি বেশি কিছুদিন ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এরপর তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কোকো লির বোন ক্যারল ও ন্যান্সি জানান, তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোমা থেকে আর ফেরেননি, পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।

কোকো লি হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সান ফ্রান্সিসকোতে বেড়ে ওঠেন। মাধ্যমিক পড়াশোনার পর তিনি ছুটিতে তার জন্ম শহরে ফিরে যান। সেখানে একটি গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ওই প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এভাবেই তার পপ সংগীতে যাত্রা শুরু হয়।

কোকো লিকে নিয়ে তার বোন ক্যারল ও ন্যান্সি লেখেন, ‘গত ২৯ বছরে তিনি অগণিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছেন। দুর্দান্ত লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য শ্রোতাদের ওপর একটি বিস্ময়কর ছাপ রেখে গেছেন। এই বছরটি লি’র গাওয়া ক্যারিয়ারের ৩০তম বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে।’

Advertisement

১৯৯৪ সালে দুটি ম্যান্ডারিন অ্যালবামের মাধ্যমে লি ম্যান্ডোপপ সংগীতে প্রবেশ করেন। পরের বছরের মধ্যে তিনি একটি ইংরেজি ভাষার অ্যালবাম বের করেন। পাশাপাশি তৃতীয় ম্যান্ডারিন অ্যালবামও প্রকাশ করেন।

কোকো লি মুলান থিম সং ‘রিফ্লেকশন’ ম্যান্ডারিন ভাষায়ও গেয়েছেন। তার গান ‘বিফোর আই ফল ইন লাভ’ ১৯৯৯ সালে হলিউড ফিল্ম রানঅ্যাওয়ে ব্রাইড এ যখন গাওয়া হয় যেখানে কণ্ঠ মেলান বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী জুলিয়া রবার্টস ও রিচার্ড গেরে।

১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় মাইকেল জ্যাকসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস বেনিফিট কনসার্টে তিনি পারফর্ম করেন। তিনি টিভি ট্যালেন্ট শো ‘চাইনিজ আইডল’ অনুষ্ঠানের বিচারকও ছিলেন। কোকো লির মৃত্যুতে বিশ্ব সংগীতের অনেকই শোক প্রকাশ করছেন।

/জেআইএম

Advertisement