ফিচার

৬০ বছর ধরে ঘুমান না তিনি!

না ঘুমিয়ে কতদিন কাটাতে পারবেন, দুইদিন, তিনদিন কিংবা ৭দিন। যা হয়ে উঠতে পারে অনেকের জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবে ৮০ বছর বয়সী থাই এনগক জীবনের ৬০ বছর কাটিয়েছেন না ঘুমিয়ে। অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই দাবি থাই এনগকের। ২০ বছর বয়সের পর থেকে আর ঘুমাতে পারেননি তিনি।

Advertisement

না ঘুমিয়ে একজন মানুষ কতক্ষণ সুস্থ থাকতে পারেন। গবেষকদের মতে, একজন মানুষ ১১ দিনের বেশি না ঘুমিয়ে বাঁচতে পারেন না। এভাবে না ঘুমিয়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়াগোতে ১৭ বছরের হাইস্কুল ছাত্র গার্ডেনার ১৯৬৪ সালে ২৬৪ দশমিক ৪ ঘণ্টা (১১ দিন ২৪ মিনিট) না ঘুমিয়ে এই বিশ্বরেকর্ড করেন।

আরও পড়ুন: শরীরে আগুন নিয়ে ১০০ মিটার দৌড়

ভিয়েতনামের থাই এনগকের দাবি তিনি ৬০ বছর ধরে একফোটাও ঘুমাননি। পেশায় থাই একজন কৃষক। তার দাবি ২০ বছর বয়সে একবার ভয়ংকর জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। তখন থেকেই তার অনিদ্রার সমস্যার শুরু। তবে ভেবেছিলেন জ্বর ভালো হলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে উঠবেন।

Advertisement

তবে জ্বর সেরে গেলেও অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাননি। এমনকি অনেক ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হয়নি। ঘুমানোর জন্য মদ্যপানও করতেন। তবে তাতেও কোনো কাজ হয়নি। থাইয়ের দাবি, এত বছর না ঘুমিয়েও তিনি দিব্যি সুস্থ আছেন।

আরও পড়ুন: ১২ বছরে ১২ সন্তানের জননী তিনি

স্লিপ সার্ভিসেসের গবেষকদের দাবি, কিছু অনিদ্রা রোগীদের জেগে থাকা এবং ঘুমানোর মধ্যে পার্থক্য বলার ক্ষমতা নেই। তারা হয়তো কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু জেগে ওঠার পর আর তা মনে রাখতে পারেন না। এই অল্প ঘুমই তাদের সারাদিনের কাজ করার শক্তি যোগায়।

যদিও এনগক কখনোই কোনো ঘুম বিজ্ঞানীদের দ্বারা সঠিকভাবে পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করতে রাজি হননি। তার এবং তার ঘনিষ্ঠ মানুষদের দাবি তিনি ছয় দশক ধরে অনিদ্রায় ভুগছেন। তার আগে একজন চীনা নারী দাবি করেছিলেন যে ৪০ বছর ধরে না ঘুমিয়েও তিনি সুস্থ আছেন।

Advertisement

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

কেএসকে/এমএস