স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল আমাদের এ দেশে রাংকুট একটি অনন্য তীর্থস্থান। আমি মনে করি, এ জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র সম্প্রীতির দেশে মিলেমিশে বাস করতে এবং সব অকল্যাণ দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে রামুর প্রসিদ্ধ বৌদ্ধবিহার রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার ও জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এর আগেও আমি এখানে এসছিলাম। এখানে যতই আসি, ততই মুগ্ধ হই। অনাথ শিশুদের একটি আশ্রম, যেটি আমি ইউটিউব এ সার্চ করে দেখেছিলাম। তখনই আসার জন্য মনস্থির করেছিলাম। আজকে এসে অনেক ভালো লাগলো। এ শিশুরা একদিন বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে, এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি যাতে স্থায়ীত্ব ও সমৃদ্ধ লাভ করে সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে অবস্থিত রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারে পৌঁছালে বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন।
Advertisement
পরে মন্ত্রী রাংকুট বৌদ্ধবিহার, রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেনসহ জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন করেন। এ সময় জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের শিশু শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। পরে জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব মু আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু, সহকারি একান্ত সচিব মনির হোসেন, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান প্রমুখ। পরে মন্ত্রী সীমান্ত শহর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ভ্রমণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে তিনদিনের সফরে কক্সবাজার আসেন। মঙ্গলবার তিনি কক্সবাজারে অবস্থান করেছেন। বুধবার (৫ জুলাই ) কক্সবাজার ছাড়বেন তিনি।
সায়ীদ আলমগীর/এএএইচ
Advertisement