ফিলিস্তিনের জেনিনে দু’দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণঘাতী অভিযানের বদলা নিতে তেল আবিবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, তেল আবিবের একটি ব্যস্ত সড়কে পথচারীদের ওপর এক ব্যক্তি ইচ্ছা করে গাড়ি তুলে দেন। এরপর নেমে এসে ছুরি দিয়ে তাদের আঘাত করতে থাকেন। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন।
Advertisement
ইসরায়েলের কান রেডিও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং তিনি পশ্চিম তীরের বাসিন্দা।
ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) তেল আবিবের পিনচাস রোজেন স্ট্রিটের একটি শপিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনকে একটি চলন্ত গাড়ি ধাক্কা মারে। এরপর চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মানুষজনকে আঘাতের চেষ্টা চালান।
এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
Advertisement
প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা বলে জানিয়েছে হামাস। ছবি সংগৃহীত
এর প্রায় পরপরই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এক বিবৃতিতে দাবি করে, জেনিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে তেল আবিবে এই ‘নায়কোচিত’ হামলা হয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র মুহাম্মদ হামাদে বলেন, আমাদের মানুষদের ওপর যে গণহত্যা চলছে, তার জবাবে এই হামলা একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। দখলদাররা (ইসরায়েল) যেভাবে ন্যূনতম মানবিকতার সব রীতি ভঙ্গ করছে, তাতে এই হামলা বৈধ আত্মরক্ষা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরও হতাহতের জন্য দখলদারদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, আমাদের সন্তানদের রক্ত অত সস্তা নয়।
Advertisement
জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। ছবি সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের খালেদ আল-বাতশও বলেছেন, এটি হচ্ছে জেনিনের ঘটনাবলীর ব্যাপারে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রথম জবাব।
গত রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে পশ্চিম তীরে জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা ও অনুপ্রবেশের ঘটনা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এ অভিযানে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে বহু মানুষ। শহরের শরণার্থী শিবির থেকে কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা, আল-জাজিরাকেএএ/