খেলাধুলা

সমালোচনা তুঙ্গে, মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি জামালকেও

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক ঘুরে গেলেন বাংলাদেশে। অথচ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি দেশের কোনো ফুটবলার! জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি, যা নিয়ে চলছে জোর সমালোচনা।

Advertisement

সাফের সেমিফাইনাল খেলে ভারত থেকে আজই (সোমবার) দেশে ফিরেছে জাতীয় ফুটবল দল। জামাল ভূঁইয়ারা যখন বিমানবন্দরে নেমেছেন, ঠিক তখনই মার্টিনেজ বাংলাদেশ সফর শেষ করে ভারতে যাচ্ছিলেন।

বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষকের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অপেক্ষায় ছিলেন। বিমানবন্দরে মার্টিনেজকে বহনকারী গাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জামাল। কিন্তু আয়োজকরা তাকে কাছেই ঘেঁষতে দেননি।

সাফে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে 'বাংলাদেশের ফুটবলের বাজপাখি' নাম পাওয়া গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও দেখা করতে পারেননি মার্টিনেজের সঙ্গে।

Advertisement

বিমানবন্দরে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'দেখা হলে কিছু টিপস নিতাম। বাংলাদেশে আসল, দেখা হলো না। আর কখনো দেখা হবে কি না তাও জানি না। ফেডারেশনের মাধ্যমে আসলে বা ফেডারেশনে যোগাযোগ করলে হয়তো আমরা ফুটবলাররা সুযোগ পেতাম সাক্ষাতের।'

জাতীয় দলের ফুটবলাররা না হয় ভারত থেকে ফিরেছেন। মার্টিনেজের এই সফরে কোনো সাবেক ফুটবলারকেও দেখা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান একদম কালো কাচের গাড়িতে করে তাকে আনা-নেওয়া করেছে।

আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম, সৌজন্য সাক্ষাৎ আর কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা হওয়ার বাইরে কোনো সমর্থকও দেখতে পারেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে। অনেকটা নীরবেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন মার্টিনেজ।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দলের যে ভক্ত-সমর্থকদের কথা শুনে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মার্টিনেজ, তাদেরই তো তিনি দেখতে পারলেন না। বুঝতে পারলেন না কি উন্মাদনা এখানকার মানুষের। তাহলে এই সফরের আসলে স্বার্থকতা কী?

Advertisement

এমএমআর/এএসএম