সিলেটে টানা বৃষ্টিতে নগরের বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রোববার (২ জুলাই) ভোরের দিকে টানা কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে নগরের নিম্নাঞ্চলের বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এতে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
Advertisement
ভারি বর্ষণে নগরের মদিনামার্কেট, আখালিয়া, সাপ্লাই, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হযরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগল্লি, বাদমবাগিচা, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, ঘাসিটুলা, তালতলাসহ বেশকিছু এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। অনেক এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি দেখা গেছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসাবাড়িতে। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি অনেকের বাসাবাড়িতে ঢুকেছে।
নগরের প্রাইভেটকার চালক আবিদ মিয়া বলেন, ‘সিটি করপোরেশন প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ করেছে ঠিকই কিন্তু ড্রেন দিয়ে পানি নামার ছিদ্র রাখা হয়েছে খুবই ছোটো। যে কারণে পানি দ্রুত নামতে না পেরে বৃষ্টি হলেই সুবিদবাজার-পাঠানটুলা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে নগরের বাগবাড়ি, শামিমাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এসব এলাকায় কোনোদিন জলাবদ্ধতা হয়নি।’
নগরের জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘রাতে ঘুমানোর আগেতো সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার সামনে পানি আর পানি। আমরা থাকি বাসার নিচতলায়। বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকি। আজও ঘরের কিছু অংশে পানি ঢুকেছে। জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি করতে করতে আমরা হয়রান।’
Advertisement
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে পানিও নেমে যাবে আশা করছি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সজিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রাতে ও সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে সিলেটের নদ-নদীগুলোতেও পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এসআর/জিকেএস
Advertisement