১৭ বছরের এক কিশোরের হত্যাকে কেন্দ্র করে গত চারদিন ধরে উত্তাল ফ্রান্স। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দাফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৩০০ জনকে।
Advertisement
এদিকে দেশটির চারিদিকে সহিংসতার আগুন জ্বলে ওঠা নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। আর তার জন্যই নাকি নতুন করে বাহিনী ও সাঁজোয়াযান মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
গত বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার জেরে ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজার গাড়ি। এ ছাড়াও বহু জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছরের তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সেই ঘটনার জেরেই ফ্রান্সে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যসহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। জ্বলছে বহু দোকান, ইমারত। লুট করা হয়েছে বন্দুকের দোকানও।
আরও পড়ুন>কিশোর হত্যা: ফ্রান্সে চলছে সহিংসতা-লুটপাট
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ প্রজন্ম। আর তাই নিজের সন্তানদের সহিংসতা থেকে থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এমএসএম
Advertisement