মালিতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ইতি টানলো জাতিসংঘ। শুক্রবার (৩০ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দেশটিতে শান্তিরক্ষা মিশনের ইতি টানার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির জান্তা সরকার মিশনে নিয়োজিত সদস্যদের প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। খবর রয়টর্সের।
Advertisement
গত কয়েক বছর ধরে চলা উত্তেজনার পর জাতিসংঘ এমন সিদ্ধান্ত নিলো। মূলত ২০২১ সালে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর সঙ্গে মালির সরকারের ভালো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরই শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্যরা অস্বস্তিতে পড়ে।
আরও পড়ুন>সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পূর্ণ সদস্য হচ্ছে ইরান
বিভিন্ন ধরনের জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে মালির সাধারণ মানুষদের জীবন রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবাহিনীর কর্মীরা।
Advertisement
অনেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা মিশনের সদস্যদের প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি হতে পারে। কারণ সেখানে মালির সেনাদের সঙ্গে মাত্র এক হাজার ভাড়াটে ওয়াগনার সদস্য কাজ করবে।
এদিকে মালিতে শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করতে ভোট চলার সময়ই যুক্তরাষ্ট্র মালি থেকে শান্তিরক্ষীদের তাড়াতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ করেছে। বলেছে, মালি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ওয়াগনারকে ২০ কোটি ডলার দিয়েছে এমন তথ্য আছে।
আরও পড়ুন>ইউক্রেনে আর যুদ্ধ করবে না ওয়াগনার বাহিনী
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ওয়াগনারের স্বার্থ রক্ষা করতেই বাহিনীটির প্রধান প্রিগোজিন শান্তিরক্ষা মিশনকে মালি থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন।
Advertisement
তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত আন্না এভস্টিগনিভা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, মালি ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে।
এমএসএম