নাটোরের গুরুদাসপুরে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির ওপর হামলার ঘটনায় আল আমিন (৩২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর পৌরসভার গাড়িষাপাড়া মহল্লার চাতাল ব্যবসায়ী মো. ছাবলু মোল্লাসহ আরও চারজনের নামে রনির বন্ধু তহুরুল মামলা করেছেন।
রনি বলেন, আমরা সিনেমা দেখার জন্য সিংড়ার বিলদহর থেকে পাঁচজন চাঁচকৈড় এসে গাড়িটা সিনেমা হলের সামনে রাস্তার পাশে পার্কিং করি। এসময় রাস্তার পাশের জায়গায় গাড়ি পার্কিং করতে দেখে এক ব্যক্তি গালাগালি করতে থাকে। তখন রাস্তার পাশেই তো গাড়ি আছে, গালি দিচ্ছেন কেন? বলে প্রতিবাদ করায় ওই ব্যক্তি আরও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে মারপিট শুরু করে। পরে জানতে পারি তিনি গুরুদাসপুর পৌর এলাকার গাড়িষাপাড়ার মহল্লার সাবলু মোল্লা। এ সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। তখন সাবলু মোল্লা মোবাইল করলে আরও আট-দশজন মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং পুনরায় হামলা চালায়। বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে, গাড়ি ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কৌতুক অভিনেতা রনির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
Advertisement
রনি আরও বলেন, আমরা আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে দৌঁড়ে পালাই। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমি এ হামলার সঠিক বিচার চাই। মারপিটের কারণে আমাদের দুইজনের অবস্থা বেশি খারাপ।
আদম শাহ মোড়ের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পুলিশ তাদের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিতে এসেছিল। কিন্তু মারামারির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ওই সময় বাদে অন্যান্য সময়ের ফুটেজ পুলিশ চেক করেছে।
অভিযুক্ত চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, তিনি তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সিনেপ্লেক্সের পাশেই রাস্তায় ৪-৫ জন দাঁড়িয়ে ছিল। বার বার হর্ন দিলেও তারা রাস্তা থেকে যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে হর্ন বেশি দেওয়ার কারণে আবু হেনা রনির বন্ধুদের মধ্যে একজন এসে তাকে কলার চেপে ধরেন। ওই মুহূর্তে তিনি তার স্বজনদের ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। এরপর বাগ বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। তবে আবু হেনা রনিকে মারপিট করা হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, পার্কিং নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
রেজাউল করিম রেজা/জেএস/জেআইএম