কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার কৃষকদের কপালে। আর অল্প দিনের মধ্যে ক্ষেতের পাট কাটবেন চাষিরা। তবে এসময়েও খাল-বিলে পাট জাগ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পানি না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন তারা।
Advertisement
চলতি মৌসুমে যশোরের শার্শায় ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
শার্শার ছোট আঁচড়া গ্রামের পাটচাষি মহব্বত আলী বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। এখনো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি।
উপজেলার ধলদাহের গ্রামের পাটচাষি জাইদুল ইসলাম বলেন, গত বছরও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় দূর-দূরান্তে নিয়ে গিয়ে জাগ দিতে হয়। সে কারণে কোনোরকম খরচ উঠেছিল। চলতি বছরেও পানি না থাকায় এবার খরচটাও টিকবে বলে মনে হচ্ছে না।
Advertisement
এভাবে পুরো উপজেলাজুড়েই বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট চাষিরা বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, পাট কেটে জাগ দিতে কৃষকদের এখনো অনেকটা সময় লাগবে। এরমধ্যে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাট চাষিদের খরচ কমিয়ে আনতে এরইমধ্যে উপজেলার চার হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করেছি। পাশাপাশি অর্থকরী ফসল হিসেবে অন্যতম হওয়ায় সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষকদের আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়াসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু খাল-বিল, নদী বা জলাশয়ে এখনো পর্যাপ্ত পানি নেই। সেক্ষেত্রে কীভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে পাট জাগ দিয়ে আঁশ সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মো. জামাল হোসেন/এমআরআর/এএসএম
Advertisement