জুমার দিনে খুতবা শোনা ওয়াজিব আর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ পড়া সুন্নত। তাহলে ওয়াজিব ছেড়ে কেন এ নামাজ পড়তে হবে?
Advertisement
দ্বীন হচ্ছে তা, যা আল্লাহ ও তাঁর নবি মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দিয়েছেন। এই দ্বীন যার মাধ্যমে আমাদের কাছে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, তিনিই মানুষকে খুতবার সময় এই নামাজ পড়ার হুকুম করেছেন। জুমার দিন কেউ যদি মসজিদে এসে দেখে যে খুতবা চলছে তাহলে সে যেনো সংক্ষেপে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয়। এটাই হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফয়সালা।
যেই ব্যক্তি মানুষের মধ্যে সবার থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথাকে বেশি মূল্যায়ন করে না, সেই ব্যক্তি নবিজির এ নির্দেশ মেনে চলবেন। হাদিসের বর্ণনায় এ বিষয়গুলো ওঠে এসেছে এভাবে-
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খুতবা দানকালে সেখানে এক ব্যক্তি আগমন করেন। তিনি তাকে বলেন, হে অমুক! তুমি কি (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) নামাজ পড়েছ? ঐ ব্যক্তি বলেন, না । নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, তুমি সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) নামাজ আদায় কর।’ (বুখারি ৮৮৩, মুসলিম ১৮৯৫-১৯০০, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ ১৪০৩, আবু দাউদ ১১১৫-১১১৭)
Advertisement
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, খুতবা শুরু হয়ে গেলেও মসজিদে এসে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়ে নেওয়া। হাদিসের ওপর আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমাদের ইবাদত-আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement